বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সূঁতিকাগার গাজীপুর জেলায় কোন্দল মানায় না। নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী থাকা মানায় না। মন্ত্রী পরিষদের সিনিয়র মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের জেলায় এমনটা ঠিক হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। বৃহসপতিবার(১৯ মে) সকালে গাজীপেুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সাথে ছিলেন গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্ধ। প্রধান অতিথির ভাষনে ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের স্মৃতিচারণ করে মঞ্চে উপবিষ্ট সকল অতিথিদের নাম ধরে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সূঁতিকাগার গাজীপুর জেলায় কোন্দল, নৌকার বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী থাকা মানায় না। মন্ত্রী পরিষদের সিনিয়র মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে সংগঠিত গাজীপুর জেলায় এমনটা মানায় না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনেরে মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার জন্য তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় ফখরুল সাহেবদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। মানুষ যখন ভালো থাকে তখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মন খারাপ হয়ে যায়। আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্ধা নেতুর উদ্বোধন হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্বে সঞ্চালনা করেন গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি। প্রসঙ্গত: ইতোপূর্বে ২০০৩ সালের ২৯ জুন একই স্থলে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। ১৯ বছর পর আবার ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৩ বছর পর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে পুনরায় সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে। পরে ২০১৭ সালের ২২ জুলাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়। এরপর আর সম্মেলন হয়নি।