জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লটকনসহ মধুর স্বাদের হরেক ফল আসা শুরু করে। তাই বলা হয় ‘মধু মাস’। আর কিছুদিন পরই দেশি ফলগুলো ধীরে ধীরে বাজারে আসতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর ‘জামরুল’ এসব ফলের মধ্যে অন্যতম।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় গাছের ডালে ডালে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে ভেষজ গুণ সমৃদ্ধ লাল, সবুজ আর সাদা রঙের জামরুল। রঙের তীব্র আকর্ষণে ফলটির দিকে বারবার চোখ ফেরাতে বাধ্য হবে সবাই। গ্রীষ্মকাল হলো এ ফলের মৌসুম। মাঝারি আকারের গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ধরেছে জামরুল। ফলটি দেখতে অনেকটা ঘণ্টাকৃতি। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর গুণাবলীও অনেক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবচর উপজেলার বিভিন্ন ফলবাজার, অলি-গলি আর ছোট-বড় বাজারগুলোতে জামরুল বিক্রি হচ্ছে। হালকা মিষ্টি স্বাদের ফলটি অনেকেরই প্রিয়। তবে অনেকই বলেন, জামরুল খেতে পানসে হয়। এরপরও ভিন্ন স্বাদ পেতে জামরুল কিনতে ফলের দোকানে ভিড় করছেন মানুষ।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় বলেন, গ্রীষ্মকালে এ ফলটির কদর বেশি। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও ফলটি খেতে সুস্বাদু। জামরুলের নিজস্ব একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে। ফলটির উপকারীতা অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিট-সি ছাড়াও ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান বিদ্যমান। শরীরের পানি শূন্যতা সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ করে। এছাড়া শরীরের নানা ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে জামরুলের জুড়ি নেই। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তি বৃদ্ধি ও বদহজম দূর করে। জামরুলে থাকা উপাদান শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া ফলটি ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও শরীরের বাত নিরাময়ে দারুণভাবে কাজ করে।