বাংলাদেশের আটটি চিংড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পর ওই অনুমতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভেনামি চাষের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে আবেদন করে আসছিলেন চিংড়ি উৎপাদনকারীরা। অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ভেনামি চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনুমোদন পাওয়া আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে খুলনায় ছয়টি ও কক্সবাজারের দুটি। এ বছর মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান ভেনামি চাষের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছিল। কিন্তু চাষের পরিবেশ ও অবকাঠামো না থাকায় আটটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ভেনামি চিংড়ির জাতটি উচ্চফলনশীল ও উৎপাদন খরচ কম। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক ভেনামি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে নানা জটিলতা ও কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালে চাষ শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ গত বছর মার্চ থেকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় অবস্থিত নোনাপানি গবেষণা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ির চাষ শুরু হয়। প্রথম বছর পরীক্ষামূলক চাষের জন্য বিনিয়োগ করেছিল যশোরের এমইউ সি-ফুডস লিমিটেড। এ বছরও পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার ওই প্রতিষ্ঠান থাইল্যান্ড থেকে ১২ লাখ ৬ হাজার ভেনামি চিংড়ির পোনা আমদানি করে পুকুরে ছেড়েছে। বাকি ৭টি প্রতিষ্ঠানও প্রস্তুতি নিচ্ছে পোনা আমদানির।
এমইউ সি-ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস বলেন, নোনাপানি কেন্দ্রের চারটি পুকুরে ওই চিংড়ি চাষ করা হয়। গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর আরও বেশি চিংড়ি উৎপাদন হবে। রপ্তানি ও বিদেশি ক্রেতা টিকিয়ে রাখতে ভেনামির কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।