সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আগের তুলনায় ঘুঘু পাখি বেড়েছে। বর্তমানে এ উপজেলার শহর এলাকাতেও অনেক ঘুঘু পাখি চোখে পড়ে। বিশেষ করে তিলা ঘুঘু। স্বাধীন জীবন নামে একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্টাতা ও নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিম বলেন, মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। পাখি শিকারীদের দৌড়াত্ম্যও কমছে। ফলে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরে ঘুঘু পাখি বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, বন্দি পাখি উদ্ধার ও আহত পাখি বাঁচাতে আমি প্রাণান্তর চেষ্টা করি। বিপদগ্রস্থ পাখির খোঁজ পেলে সেখানেই ছুটে যাই। (২১ মে) শনিবার সকালে তাড়াশ পৌর এলাকার একটি কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ঘুঘু পাখির দেখা মেলে। পাখিগুলো খাবারের সন্ধান করছিল সম্ভাবত। ঐ কলেজের নৈশ প্রহরী বলেন, কলেজের অফিস কক্ষের সামনে ছোট্ট গাছে এক জোড়া ঘুঘু পাখি বাসা বেধেছে। পরে দুইটি ডিম দিয়েছে। খুব কাছে থেকে সেই ঘুঘুর বাসা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ঘুঘুর বাসাটির খেয়াল রাখছি। শিকারী বা শিশু-কিশোররা ক্ষতি করতে পারবেনা। শামীম আহমেদ নামে তাড়াশ সদর গ্রামের এক জন কৃষক বলেন, ৬০ বিঘা খেতে বোরো ধান ও আমনের আবাদ করেন তিনি। বিশেষ করে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির সময় ঘুঘু পাখি ধান খাওয়ার জন্য দল বেধে বীজতলার মধ্যে নেমে পড়ে। পাখিগুলো কিছুটা ক্ষতি করে বটে। কিন্তু তিনি কীটনাশক ছিটিয়ে দেননা বা ফাঁদ পেতে রাখেন না। বরং ধানের চারা একটু বড় হওয়া অবদি কৃষি শ্রমিক রেখে দেন বীজতলা পাহাড়া দেওয়ার জন্য। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম বলেন, দুই বছর আগেও ঘুঘু পাখি চোখে পড়তনা। বর্তমানে তিলা ঘুঘু অনেক বেড়েছে। তিলা ঘুঘুর পালকের রং বুকের নিচে ধূসর, পিঠ বাদামি, গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা ফোঁটা। ঠোঁট বাদামি কালো। পাখির উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে অন্যান্য প্রজাতির ঘুঘু পাখির দেখা মিলবে আমাদের অঞ্চলে।