শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় সাপ্তাহিকের প্রতিবেদন খণ্ডন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নিউ ইয়র্ক পুলিশের ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সিলেটের আব্দুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন হোয়াইট হাউসের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছেন ট্রাম্প শ্রমিক ঘাটতি পূরণে ইন্টার্নশিপ কতটা সহায়ক হতে পারে? হরতাল হবে না, মানুষ আওয়ামী লীগের শাস্তির অপেক্ষা করছে: রিজভী আ’লীগের প্রতি আচরণ তেমন হওয়া উচিত, গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে যেমন আমাদের সাথে করা হতো: হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে তিন বিষয়কে গুরুত্ব দেবে ইসি নাইম শেখের সেঞ্চুরি, খুলনার রান পাহাড়

তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা ‘লজ্জাজনক’: মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

ভারতের সাথে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং ‘লজ্জাজনক’ যে চুক্তিটি ১১ বছর ধরে ঝুলে আছে। গতকাল সোমবার (৩০ মে) আসামের গুয়াহাটিতে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা ১১ বছর ধরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে পারিনি। এটা লজ্জারও। আমরা প্রস্তুত ছিলাম, তারাও প্রস্তুত ছিল, তবুও চুক্তিটি হয়নি। ভবিষ্যতে পানির জন্য একটি বড় হাহাকার তৈরি হবে এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত নদী সম্মেলনের ফাঁকে এনডিটিভির সাথে কথা বলার সময় মোমেন বলেন, দুটি দেশের ভারতের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদী রয়েছে। এই দুই পক্ষই অভিন্ন নদীসমূহের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ভারতের অংশীদার হতে এবং একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। ‘অববাহিকা এলাকার মানুষের কল্যাণের জন্য দুই পক্ষের মানুষেরই যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তিস্তা নদী তিস্তা কংশ হিমবাহে উৎপন্ন হয়েছে এবং বাংলাদেশে প্রবেশের আগে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে তিস্তার ক্যাচমেন্ট এলাকাগুলো ভারতকে বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে এটি নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়। ২০১১ সালে ভারত তিস্তার পানির ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার করতে সম্মত হয়েছিল এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে শুষ্ক মৌসুমে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ পানি ধরে রেখেছিল। তবে,পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কঠোর বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি হয়নি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী যে ভারত চুক্তির ব্যাপারে এগিয়ে আসতে রাজি হবে, এমনকি পশ্চিমবঙ্গও সম্মত হবে। এবং আমরা এটি অর্জন করতে পারব।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর আসাম ও বাংলাদেশে একই সময়ে বন্যা হয়। আমাদের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে, যৌথভাবে বন্যার আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং নদীগুলোর যৌথ ব্যবস্থাপনা উভয় দেশের জন্যই উইন-উইন।’ বেশকিছু গণমাধ্যমের গুঞ্জন উঠেছে, তিস্তা নদীর ওপর ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে। প্রকল্পটির লক্ষ্য নদী অববাহিকা দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং গ্রীষ্মকালে পানি সংকট মোকাবেলা করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো তিস্তা নিয়ে চীনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসেনি। চীন প্রাথমিকভাবে যেটি প্রস্তাব করছিল সেটি ছিল একটি ফরাসি প্রকল্প। ১৯৮৯ সালে ফরাসি প্রকৌশলীরা এটি ডিজাইন করেছিলেন। এটি ব্যয়বহুল ছিল, তাই তখন আমরা তহবিল সংগ্রহ করতে পারিনি। এখন চীনারা এর একটি অংশ হিসেবে তিস্তা প্রকল্পকে বাছাই করেছে। কিন্তু আমি মিডিয়া রিপোর্ট থেকে এটি জানতে পেরেছি। তারা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায়নি। আমাদের এখন এটি কেমন হবে তা দেখতেই হবে। কারণ ভারত এখনো তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানে আসলে তেমন কিছু করছে না। তাই তারা (চীন) একটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, এটি (আমাদের জন্য) একটি লাভজনক প্রস্তাবও।’ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের সুবিধার জন্য তিস্তাকে আরো ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি প্রযুক্তিগত সমীক্ষা চালানোর জন্য পাওয়ারচিনা বা চায়না পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে, তিস্তা একটি অমীমাংসিত ইস্যু। তাই আমাদের জনগণ স্বাভাবিকভাবেই সরকারকে নতুন কোনো প্রস্তাব (সমাধান) ভেবে দেখার জন্য চাপ দেবে। এই কারণেই হতে পারে তিস্তার ওপর চীনা প্রকল্প নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে এত আলোচনা হচ্ছে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com