রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

অক্ষত কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে: এম শাহজাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। গতকাল রোববার তিনি ডিপো পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ডিপোতে বিস্ফোরণ-অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণসহ সর্বশেষ পরিস্থিতি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। গত শনিবার রাতে এই কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক। ডিপোর আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গতকাল রোববার সকাল নয়টার দিকে বন্দর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি দল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ডিপো পরিদর্শন করে। এ সময় ডিপোতে আগুন জ্বলছিল।
ডিপোতে এখনো অক্ষত থাকা হাইড্রোজেন পারক্সাইডসহ রাসায়নিক পণ্যভর্তি কয়েকটি কনটেইনার সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেন বন্দর চেয়ারম্যান। মালিকপক্ষ ও কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এম শাহজাহানের মতে, অক্ষত কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইডবাহী ২৬টি কনটেইনার ছিল। ডিপোর টিনশেডেও প্লাস্টিকের জারে এই রাসায়নিক ছিল। আগুন লাগার পর কনটেইনারে থাকা রাসায়নিকভর্তি জার ফেটে যায়। এতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড বের হয়ে কনটেইনারের সংস্পর্শে আসে। অক্সিজেন নির্গত হয়ে পানি ও আগুনের সংস্পর্শে কনটেইনারের ভেতরে তাপমাত্রা বেড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। কনটেইনার ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে স্প্রিন্টারের মতো তা ছড়িয়ে পড়ে। হাইড্রোজেন পারক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। যদি উত্তপ্ত করা হয়, তাহলে তাপীয় বিয়োজনে হাইড্রোজেন পারক্সাইড বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে।
এম শাহজাহান বলেন, এই ডিপোতে ‘আইএসপিএস কোড’ কমপ্লায়েন্স বা নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। আইএসপিএস কোড হলো আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা প্রণীত বন্দর ও বন্দর-সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাসংক্রান্ত ব্যবস্থা। বিপজ্জনক পণ্য রাখার জন্য ডিপোতে আলাদা ইয়ার্ডও দেখেছেন তিনি। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ক্রেন দিয়ে সরিয়ে আলাদা জায়গায় রাখি। রাসায়নিক হলে পানির পরিবর্তে ফোম ব্যবহার করি। এখানে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মতো বিপজ্জনক পণ্যে আগুন লাগার পর ক্রেন দিয়ে কনটেইনার সরিয়ে নিলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা কমে যেত।’
বন্দর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কনটেইনার ডিপোগুলোর পরিচালন কার্যক্রম তদারক করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর নিরাপত্তাসংক্রান্ত কার্যক্রম তদারক করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। ডিপোগুলো বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হওয়া পণ্যবাহী কনটেইনার ব্যবস্থাপনা করে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com