বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

৫ম বারেও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন এটিএম গোলাম রসুল

আলতাফুর রহমান আলতাফ লালমনিরহাট :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০২২

আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ও দমন, অপহরন ধর্ষন চুরি ছিনতাই চাঞ্চল্যকর ৬টি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারসহ নানা কাজে সাহসী ভুমিকা রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় লালমনিরহাট জেলায় ৫ম বারের মত শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এটিএম গোলাম রসুল। বিগত সময়ে কালীগঞ্জ থানার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মাদকের ছিল ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত গাজা মদ সহ মরন নেশা ভারতীয় ফেন্সিডিল। বিশেষ করে সীমান্তগুলো ছিল যেন মাদকের সর্গরাজ্য। মাদক ব্যবসায়ীরা ছিল বেপরোয়া। প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকার মদ গাজা ফেন্সিডিল ভারত থেকে পাচার হয়ে আসত বাংলাদেশে। অলি গলি হাট বাজার মুদি দোকান বাসাবাড়ীতে পাওয়া যেত এসব মাদক। বিগত সময়ে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও উদ্ধারে তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা রাখতে পারেনি সেই সময়ে দায়িত্বে থাকা থানা প্রশাসন। তবে কিছু কিছু মাদক উদ্ধার ও মামলা করা হয়েছিল যা তুলনামুলক অনেক কম। গত ২১ নভেম্বর/২১ইং তারিখে কালীগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন এটিএম গোলাম রসুল। যোগদানের পর তিনি কালীগঞ্জ থানাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত থানা উপহার দেয়ার জন্য জনগনকে প্রতিশ্রুতি দেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন। পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার সুদক্ষ দিক নির্দেশনায় গোলাম রসুলের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে বিপুল পরিমানে মাদক উদ্ধার মাদক ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ীর গড ফাদার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তিনি। ২১/১১/২১ইং তারিখ হতে ১৯/৫/২২ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ৬৫টি মামলায় ৭৫ জন মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেফতারসহ ৪৮৭২ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল ভারতীয় ইসকাফ,৭৬কেজি ৫শ গ্রাম গাজা, ২৩৫২ পিচ ইয়াবা, এবং ভারতীয় মদ ২৬ বোতল উদ্ধার করেন। মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ছাড়াও তিনি নিয়মিত মামলায় ২৫৭জন, গ্রেফতারী পরোয়ানায় ৯২ জন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ৪১ জন, গ্রেফতারসহ মোট ৪০৩টি গ্রেফতারী পরোওয়ানা নিষ্পত্তি করেন। চাঞ্চল্যকর একটি গন ধর্ষন মামলার পলাতক আসামী ২জন,এবং চাঞ্চল্যকর ৩টি হত্যা মামলার মধ্যে ২টি হত্যা মামলার পলাতক আসামী ৩ জন এবং একটি হত্যা মামলায় তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে ৭জন আসামীকে গেফতার করেন এবং ২জনের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী গ্রহন এবং আদালতে প্রেরন করেন।,চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ২জন, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ৩জন,নারী অপহরন মামলায় ৫ জন আসামী গ্রেফতার ও ১১জন ভিকটিম উদ্ধার করেন। জরুরী ৯৯৯ ফোনে তাৎক্ষনিক ভাবে এবং নিখোজের জিডিমুলে ৪২ জন ভিকটিম উদ্ধার, জিডিমুলেপরিত্যাক্ত অবস্থায় ১৭টি চোরাই গরু, ২২টি মাটর সাইকেল, ১টি মাহেন্দ্র ও দুইটি ট্রাক ২টি অটো ইজিবাইক উদ্ধার করেন।৩টি চুরি মামলায় তাৎক্ষনিকভাবে আসামী গ্রেফতারসহ ২টি চোরাই গরু ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং ২টি অটো ইজিবাইক উদ্ধার করেন। থানা এলাকায় তালিকাভুত্তি ১৮ জন কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। এ ছাড়াও বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জন সচেতনতা বৃদ্ধি, বাল্যবিবাহ, চুরি, ছিনতাই, গুজব, জঙ্গী, জমিজমার বিরোধ নিষ্পত্তিসহ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে এবং থানা এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পেশা দারিত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এটিএম গোলাম রসুল ২০০১ সালে পুলিশের চাকুরীতে যোগদান করেন। যোগদানেরপর তিনি প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানায় সেকেন্ড অফিসার হিসেবে সততা নিষ্ঠা ও সাহসীকতায় চাঞ্চল্যকর কয়েকটি হত্যা, গুম, অপহরন, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং শাড়াশী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে চলে আসেন সাহসী অফিসার হিসেবে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রমোশন পেয়ে তিনে যোগদান করেন সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে। রেলওয়ে থানায় ২ বছর, এর পর রংপুর ডিআইজি অফিসে ২ বছর, পিবিআইতে ৩ বছর দিনাজপুর জেলার বিরল থানায় এবং ডিবিতে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ৪ বছর সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে একজন সৎ নিষ্ঠাবান সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে ব্যপক সুনাম অর্জন করেন। ২০০৪ হতে ২০০৭ পর্যন্ত র‌্যাব ১ উত্তরা ঢাকা এলাকায়ম মাদক ব্যবসায়ী এবং গড ফাদারদের গ্রেফতার করে নজিরবীহিন দৃষ্টান্ত স্তাপন করেন। এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ এটিএম গোলাম রসুল বলেন, সরকার আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে আমি বদ্ধ পরিকর। আমি এ থানায় থাকার সময় কোন মাদক ব্যবসায়ী ভারত থেকে মাদক পাচার করে এনে ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেনা। মাদক পাচার ক্রয় বিক্রয় বন্ধ এবং আইন র্শংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাকতে সাড়াসী অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাননীয় পুলিশসুপার মহোদ্বয়ের সুচতুর দিক নির্দেশনায় আমি থানার সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচার প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। উদ্ধার করছি মদ গাজা ফেন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com