শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশ(৭১)। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে বরফ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সেজন্য বরফ ওয়ালা হিসাবে চেনেন এলাকার মানুষজন। বিশেষ করে শিশুরা বরফ ওয়ালা কাকু বলে ডাকেন তাকে। এদিকে স্কুল জীবনে বরফ কিনে খেতেন তাদের অনেকে ভালো চাকরি করছেন। ওসব চাকুরেজীবীরা তাকে বেশ সম্মান করেন। বলরাম চন্দ্রের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামে। শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশ বলেন, আমার কর্ম জীবনের শুরু বরফ কেনা বেচা করে। এ কাজের মধ্যে ৫০ বছর পেড়িয়ে গেছে। বরফ বিক্রি করে দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। সরজমিনে দেখা যায়, বিনসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণায় বসে বরফ বিক্রি করছেন শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশ। তার কাছ থেকে বরফ কিনে খাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা। ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া, সাথী ও সোহান জানায়, শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশকে বরফ ওয়ালা কাকু বলে ডাকে তারা। বিশেষ করে গরমের সময় বরফ খেতে তাদের খুব মজা লাগে। তাড়াশ পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক রাজুর বড় মেয়ে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা ও মেজ মেয়ে নওগাঁ জিন্দানী কলেজের প্রভাষক রোকখানা খাতুন বলেন, আমরা দুই বোন তাড়াশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা কালীন শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশ কাকুর কাছ থেকে বরফ কিনে খেয়েছি। তিনি বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। হঠাৎ বরফ ওয়ালা কাকুকে দেখলে শ্রদ্ধায় বুকটা ভরে যায়! আমরা তার সাথে আলাপচারিতা শুরু করে দেই। তিনি খুব খুশি হন। শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশের স্ত্রী গীতা রাণী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একটি ঘর উপহার দিয়েছেন। এখন বয়স্ক ভাতার কার্ড হলে উপকার হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, শ্রী বলরাম চন্দ্র দাশ ও তার স্ত্রী গীতা রাণীর ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে।