জামালপুরের মেলান্দহে আকস্মিক বন্যায় ৯ টি গ্রামের বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। ডুবে যাওয়া ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক ও ধান পরিবহনের জন্য খরচ বেড়েছে। মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছে, উপজেলার রৌমারী ও ইলশামারী বিলে ৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছিল । তাঁর মধ্যে ১২ একর জমির ধান কাটা বাকী রয়েছে। তাছাড়া সব ধান? কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ বছরের উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ২০ হাজার ২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২০ হেক্টর চাষ কম হয়েছে।কৃষকরা বলেন, এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। পাওয়া যাচ্ছে না নৌকা। তাই বেশিরভাগ ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল রাইজিং বিডিকে বলেন, ঘোষেরপাড়া ও ঝাউগড়া ইউনিয়নে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। তাঁদের মধ্যে রৌমারী ও ইলশামারী বিলে ৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছিল। প্রায় সব ধান কাটা শেষ। ১২ একর জমির ধান কাটা বাকি আছে। বাকিটুকু দু-একদিনের মধ্যে কাটা শেষ হয়ে যাবে। কতটুকু ধান তলিয়ে গেছে এটা আমাদের জানা নেই। তবে পানি কমতে শুরু করেছে।