জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এঁর তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে নীলফামারীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনশুমারী ও গৃহগণনা শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে(১৫জুন) ডিসি’র সরকারী বাসভবনে গিয়ে তার তথ্য সংগ্রহ করেন শুমারী সংশ্লিষ্ঠগণ। এ সময় জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে ডিসি অফিস প্রাঙ্গণে পায়রা উড়িয়ে ১৫-২১জুনের সপ্তাহব্যাপী কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও শহরে বের করা হয় বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা মুরাদ হাসান বেগ, নীলফামারী সরকারী কলেজ বিএনসিসি’র প্লাটুন প্রধান ওমর ফারুক অংশ নেন। উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, আমাদের উন্নয়ন, বিভিন্ন কর্মকান্ড, পরিকল্পনা প্রণয়নে শুমারীর গুরুত্ব অনেক। সঠিক পরিসংখ্যান থাকলে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহজ হয়। একারণে সরকার এই শুমারীর আয়োজন করে থাকে। তবে এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় অনেক সহজ হবে এই কার্যক্রম পরিচালনায়। কেউ যাতে শুমারীর আওতা থেকে বাদ না যায় এজন্য সকলের সহযোগীতা চান তিনি। পরিসংখ্যান বিভাগ জানানয়, গণনাকারী ৪৬৭২জন, সুপারভাইজার ৮০৪জন, জোনাল অফিসার ৪৮জন, ছয় উপজেলায় ছয়জন শুমারী সমন্বয়কারী এবং জেলা পর্যায়ে দুইজন জেলা সমন্বয়কারী রয়েছেন। জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান জানান, গত রাত ১২টা থেকে ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হয়। ‘জনশুমারীতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’ শ্লোগানে এবারের জনশুমারী শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, শুমারী উপলক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছে তারপরও কেউ যাতে পিছিয়ে না যায় শুমারী থেকে এজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।