রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গ্রামীণ জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কুঁড়েঘর। বর্তমানে প্রায় সব বাড়িতে উঠেছে টিনের ঘর বা ইটের পাকা বাড়ি। এক দশক আগেও গ্রামীণ জনপদে খরের ঘর ছিল বেশির ভাগ মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই। খরের ঘরকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় খেরী হয়। সাধারণত ধানের খড় বা কাঁশফুলের কাশি দিয়ে নির্মাণ করা হতো খরের চালা বা ঘর। কখনো গম বা জবের খড় ব্যবহার করা হতো। অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত নতুন ধানের খড় দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হতো। এসব ঘর নির্মাণের জন্য বিশেষ শ্রমিক ছিলেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে মানুষের আয় বেড়েছে। পরিবর্তন এসেছে জীবন জীবিকায়। তাই খড়ের বাড়িতে সবাই নির্মাণ করছেন টিনের ঘর বা আধা পাকা ও পাকা বাড়ি।