বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে এবং তার পাশে থাকতে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান। গত রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তারা ফিরোজায় প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি, অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। শারীরিক জটিলতা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বেগম জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় থেকে তার চিকিৎসা চলছে। গত ১০ জুন রাত ৩টায় বুকের ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। পর দিনই দ্রুত তার হৃদপি-ে একটি ব্লক অপসারণ করে স্টেন্ট বসানো হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, আমার সাথে ডা: জাহিদ হোসেনের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাসায় আসার পর থেকে ম্যাডামের নতুন করে কোনো জটিলতা তৈরি হয়েনি। তিনি আগের মতোই আছেন। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ২৪ জুন বাসায় আসার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবনে যান বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী ও বড় বোনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ডিউক। চিকিৎসকদের মধ্যে নিয়মিত তাকে দেখতে যান ডা: জাহিদ হোসেন। এছাড়া ডা: আল মামুন, ডা: এফ এম সিদ্দিকীও তাকে দেখতে যান।