প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্যায় না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। গতকাল সোমবার (২৭ জুন) সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় সবগুলো জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ৯০ ভাগ, সিলেট ৭০ ভাগ ডুবে গেছে। আগের তুলনায় পানি কমলেও এখনো অনেক জায়গা নিমজ্জিত রয়েছে। মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। তাদের কষ্টে শরীক হতে এখানে আসা। বন্যা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রণালয় ও বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন- বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সবাই বন্যা কবলিতদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। উদ্ধারে সেনাবাহিনী অনেক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, বন্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। মনিটরিং সেন্টার খুলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যায় পানি ঢুকে পড়া হাসপাতালে মুমূর্ষ রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। ফলে বিনা চিকিৎসায় ও খাবারের অভাবে এখনো কেও মারা যায়নি।
তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ভেতরেও পানি ঢুকেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে জেনারেটর বসিয়ে আইসিইউ এবং অন্যান্য ইউনিট চালু করা হয়। ভয়াবহ বন্যার মধ্যেও স্বাস্থ্যবিভাগ পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে। চিকিৎসার পাশপাশি ৬-৭ হাজার টন খাদ্য বিতরণ করেছি। বন্যা পরবর্তী রোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। তাছাড়া বন্যা পরবর্তী অসুখ দেখা গেলে মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে।
ডা. জাহিদ মালেক বলেন, যেসব জেলা উপজেলায় বন্যা হয়েছে। সেখানে হাসপাতালেই ২-৩ ফুট পানি। হাসপাতালগুলোতে পানি প্রবেশ করেছিল, সেখানে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪ হাজার মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। কেবল সিলেটেই দেড় থেকে ২শ’ টিম কাজ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।