ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘােষণা করা হয়। এ সময় ভূমিহীন-গৃহহীন ১০টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমির কবুলিয়ত, জমির খতিয়ান, গৃহ প্রদানের সনদসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) হেলাল মাহমুদ শরীফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মিয়া, নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিল হােসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চুন্নু শেখ প্রমুখ। এর আগে নগরকান্দায় প্রথম পর্যায়ে ২১৫ টি, ২য় পর্যায়ে ১১০টি এবং ৩য় পর্যায়ে ১১০টি পরিবারসহ সর্বমোট ৪৪৫ টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়। বৃহস্পতিবার আরো দশ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘােষণা করা হলো। জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২৬ হাজার ২ শত ২৯টি হস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্বােধন করেন। এসময় নগরকান্দা উপজেলার ১০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং নগরকান্দা উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘােষণা করা হয়।
মোঃ হাসানুজ্জামান বদলগাছী (নওগাঁ)
নওগাঁর বদলগাছীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বরুপ ৩০ টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমিহীন ব্যক্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ২য় ধাপে সারাদেশে ২৬,২২৯ টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ২১জুলাই সকাল ১১ টায় সারা দেশের উপজেলার সাথে ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে একযোগে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে বদলগাছী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল্পনা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইবনু সাব্বির আহমেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ইমামুল আল হাসান তিতু,সহকারী কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান, বদলগাছী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জবির উদ্দিন প্রমুখ। এই ধাপে বদলগাছী সদর ইউনিয়নের আবাদপুর মৌজায় ৩০ টি গৃহহীন -ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুরে ভুমিহীন ও গৃহহীন দেও মাঝে তৃতীয় ধাপের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় শরীয়তপুর জেলায় ১৩৮টি ঘর টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরনের উদ্ভোধন ঘোষনা করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন এক উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নড়িয়া উপজেলা পরিষদের হল রোমের উক্ত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আসাদুজ্জামান, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র এড. আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহাদী হোসেন, ঘড়িসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান, কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিহির চক্রবত্রী, চাকধ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন দালাল এবং নড়িয়া উপজেলার ভুমিহীন-গৃহহীন সকল সুবিধা ভোগীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদ ইসলাম (জলঢাকা) নীলফামারী
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ নতুন বাড়ি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না।দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ঠিকানা করে দেবে সরকার।এছাড়া ও বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পানি,বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যাবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২১ শে জুলাই) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের মতো নীলফামারী জলঢাকায় এসব পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে এসব সেমি পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় প্রভাব শালীদের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ধাপে ভূমিহীন-গৃহহীনের জন্য জমির মালিকানাসহ এই ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ধাপে উপজেলায় ১০০ টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জানা যায়,প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের তুলনায় তৃতীয় পর্যায়ের এসেছে বেশ পরিবর্তন। বাড়ানো হয়েছে ব্যয় যে কারণে ঘরগুলো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব হাসান দৈনিক খবর পত্র বলেন,আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এ উপজেলায় ছয়শত পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘড় বিতরন করা হয়েছে।তৃতীয় ধাপে ১০০ টি পরিবারের মধ্যে দুই শতাংশ জমি সহ বাড়ি আজ হস্তান্তর কার্যক্রম এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
দীঘিনালা প্রতিনিধি
মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিতায় ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) উপকারভোগী পরিবারের নিকট আরো ১২০ পরিবারের নিকট জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহের এ প্রকল্পটিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংযোজন করা ৪০০ বর্গফুট আয়তনের ২ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ। এই ঘরে সুপরিসর ২টি কক্ষের সামনে টানা বারান্দা এবং পেছনে রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি পুনর্বাসিতদের জন্য রয়েছে নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ক্লাষ্টারভিত্তিক স্থাপিত প্রকল্প গ্রামগুলোতে সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিনন্দন লে- আউটের মাধ্যমে অভ্যন্তরীন রাস্তা কমিউনিটি সেন্টার, পুকুর খেলাম মাঠ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়। দীঘিনালায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে বৃহস্পতিবার জমিসহ ১২০ টি গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এর আগে ৪৪৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৪১৭ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়। ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপে ৬০ টি ঘর জমিসহ ঘর প্রধানমন্ত্রী হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা অডিটমিয়ামে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মোঃ আলিমউল্লাহ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল মিন্টু এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান। পরে উপকারভোগীদের মাঝে ঘরের দলিল তুলে দেয়া হয়।
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর ৮টি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের জমিতে গড়ে তোলা পাকা ঘরে এবার মাথা গোঁজাবার ঠিকানা হয়েছে ৬৪৬ পরিবারের। এই ঘরে জীবনের গল্প পরির্বতনের পাশাপাশি ভাসমান জীবনের লজ্জা মোচনের সুযোগ হয়েছে সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়েই আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে নোয়াখালীর এসব উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম ছিদ্দিকী রাজু, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের এস.এ শাখার তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে নোয়াখালীতে মোট ঘর বরাদ্ধ হয় ২৩৬২টি। এরমধ্যে প্রথম ধাপে উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয় ৩৬৭টি ঘর। দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলায় ৩১২, বেগমগঞ্জে ৬০, কোম্পানীগঞ্জে ৪২, চাটখিলে ১০, সেনবাগে ৪২, সুবর্ণচরে ১৩৮, সোনাইমুড়িতে ২৭ ও কবিরহাটে ১৫টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। সদর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধ পাওয়া ৪৩৫টি ঘরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয় ৩১২টি ঘর। এরমধ্যে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ১৪টি, অশ^দিয়া ইউনিয়নের মুকিমপুরে ১৭টি, দক্ষিণ নাজিরপুরে ৮টি, এওজবালিয়ার দক্ষিণ চর শুল্লকিয়ায় ৪২টি, চর শুল্লুকিয়ায় ৬টি, পশ্চিম এওজবালিয়ায় ২৩টি, চরমটুয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে ৩৯টি, পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্য নারায়ণ বহর গ্রামে ৪৬টি, আন্ডারচর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামে ৫৭টি, কালাদরাপ ইউনিয়নের রামহরিতালুক গ্রামে ১৩টি ও উত্তর চর শুল্লুকিয়া গ্রামে ৪৭টি নির্মাণাধীন ঘরে নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করে উপকারভোগীরা। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা কিনা একেবারেই দুস্থ, একেবারেই ভূমিহীন, স্বামী পরিত্যাক্তা-বিধবা নারী আছেন, প্রতিবন্ধী-ছিন্নমূল ব্যক্তি যারা আছেন, তাদেরকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলোতে থাকার জন্য উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করেছি। তিনি বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টুনির যতগুলো প্রকল্প আছে, আমরা চেষ্টা করছি এই দুস্থ-অসহায় মানুষগুলোকে সেই প্রকল্পের আওতায় এনে তাদের আত্মসামাজিক অবস্থার উন্নতি যেন পাওয়া যায়। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন জমি ক্রয় করে হলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে স্বপ্ন আমাদেরকে দেখিয়ে যাচ্ছেন, আমরা সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য সারথী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা।
খালিদ হোসেন মিলটন গলাচিপা (পটুয়াখালী)
“আশ্রায়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীনদের দুই’শতক জমির উপরে পাকা ঘর নির্মাণ করে চাবি হস্তন্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অসহায় পরিবারের মধ্যে গৃহ প্রাদান অনুষ্ঠান কর্মসূচি উদ্বোধন করে। পরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ২৬,২২৯ টি গৃহ উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনাতনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমারের সভাপতিত্বে উপজেলা ভূমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমে তৃতীয় পর্যায়ে ২১০টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে (“ক” শ্রেণী ভূক্ত) ভূমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো, সহ- সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মনির, কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম, মধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা, প্রেস ক্লাব সভাপতি মু. খালিদ হোসেন মিলটন, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ রহমান, ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায়, পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া, সাংবাদিক জিল্লুর রহমান জুয়েল, শিশির রঞ্জন হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার, মিঠুন পাল, আরিফ হোসেন প্রমূখ। উল্লেখ্য এ উপজেলায়া প্রথম পর্যায়ে ৩৯৩টি, দ্বীতিয় পর্যায়ে ৫০০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২১০টি মোট ১১০৩ পরিবারের মাঝে এ ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হয়।
শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের আওতায় ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২৫ টি গৃহ প্রদানের ভার্চুয়াল শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা মুজিববর্ষের এই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ – ২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায় চতুর্থ ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বাসগৃহ নির্মান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। বৃহস্পতিবার(২১ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা হল রুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধন করেন । এ প্রকল্পে শাহজাদপুর উপজেলার গারাদহ ইউনিয়নে নতুন করে ২৫ টি ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা। প্রতিটি ঘরের দুটি রুম,একটি বাথরুম, একটি কিচেন রুম ও একটি কমন স্পেস রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরুলোদী, ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ লিয়াকত, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারি,সূধীজন ও গৃহহীন ২৫ টি পরিবার উপস্থিত ছিলেন।পরিশেষে উপজেলার ২৫ টি গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেওয়া হয়।
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার ৩৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মাঝে জমি সহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। নরসিংদী জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও রায়পুরা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা গণমিলনায়তনে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুম, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর নরসিংদীর প্রকৌশলী সরদার সামসুল আলম, নরসিংদী এলজিইডি এক্সেন খন্দকার আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজগর হোসেন, রায়পুরা পৌর মেয়র জামাল মোল্লা, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাজ্জাত হোসেন, রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সহ উপকার ভোগী ভূমিহীন পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
মঞ্জুরুল হক (ঝিনাইগাতী) শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৫ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পেলেন জমির দলিল ও ঘরের চাবি। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে উপকার ভোগিদের মাঝে জমির দলিল ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হল রুম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভুইয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তি যোদ্ধা শামছুল আলম, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে অতিথিগণ ১৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করেন।উল্লেখ্য যে, ঝিনাইগাতী উপজেলা ১ম ধাপে ৬৫টি, ২য় ধাপে ২৫টি, ৩য় ধাপের ১ম স্তরে ১৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়। ৩য় ধাপের ২য় স্তরে বৃহস্পতিবার ১৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে এ ঘর প্রদান করা হয়।জানা গেছে, উপজেলার ৭ ইউনিয়ন থেকে বহু সংখ্যক আবেদনের মধ্যে থেকে ১ শত ২১ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ৯৬টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়। এদের মধ্যে পশ্চিশ বাকাকুড়ায় ১১ টি এবং নলকুড়ায় ৪ টি সহ ১৫ টি পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের দান্যারপাড় ও গৌরীপুর ইউনিয়নের গজারীকুড়া এলাকায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ৫৫ টি পবিরারকে পূর্ণবাসিত করা হচ্ছে। বাকি ২৬ টি পরিবারকেও পরবর্তী পর্যায়ে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জহিরুল ইসলাম মিলন ধনবাড়ী (টাংঙ্গাইল)
সারা বাংলাদেশের মতো ধনবাড়ী উপজেলাতেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ধনবাড়ী উপজেলাতেও বাড়ি পেল মোট ২৫৪ জন ভূমিহীন, গৃহহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও অতি বৃদ্ধারা। প্রতিটি সেমি পাকা বাড়িতে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাবাড়ি ও একটি বাথরুম। প্রধানমন্ত্রী উপহার বাড়ি পাওয়ার ফলে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত হলো। গৃহহীনরা স্থায়ী আবাসভূমি প্রাপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। তন্মধ্যে বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ন্যায় ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার ৪ হাজার ৮৩ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে এ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন ও) মোঃ আসলাম হোসাইন, ধনবাড়ী ধানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ চান মিয়া ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ,ধনবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহা ফাতিহা তাকলিমা ডাঃ শাহনাজ সুলতানা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ- হাবিবুর রহমান সুমন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির হোসে ধনবাড়ী প্লেস ক্লাবের সাধারণত সম্পাদক মোঃ আনছার আলী সহ ধনবাড়ী উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। ধনবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ- আসলাম হোসাইন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলার গরীব মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরিব নিঃস্ব মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার। তিনি আরও বলেন, এ মহৎ উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ধনবাড়ী উপজেলার তালিকাভুক্ত অবশিষ্ট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গৃহ নির্মাণ করে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে। ফলে ধনবাড়ী উপজেলার একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না।
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘোষণা বাস্তবায়নে নরসিংদীর জেলার মনোহরদী উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ১০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) নরসিংদীর ভূঁইয়া মোহাম্মদ রেজাউর রহমান ছিদ্দিকির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপকারভুগীদের মাঝে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি দুই শতাংশ জমির সম্পাদিত কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান ও গৃহ প্রদানের কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী একযোগে ৩য় পর্যায়ে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। যা উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মনোহরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রিয়াশীষ রায়, পৌর মেয়র মো. আমিনুর রশিদ সুজন, মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান, বেলাব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুর আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন ইঞ্জিনিয়ার এম এস ইকবাল আহমেদ, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইশরাত জাহান তামান্না, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা সুলতানা রুবী, মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও বিভিন্ন ইলেকট্রিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
মোশারফ হোসেন জুয়েল নওগাঁ
নওগাঁ জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে শতভাগ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত হলো রাণীনগর উপজেলা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে নির্মিত বাড়িগুলো হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশের ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরেই রাণীনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলার আমিরপুর গ্রামে নতুন করে নির্মিত বারটি আশ্রয়নের বাড়িগুলোর মালিকানার নথিপত্র সুবিধাভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বপ্নের রঙ্গিন বাড়ি পেয়ে আবেগাল্পুত হয়ে পড়ে সুবিধাভোগীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ও নথিপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন, কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, প্রকৌশলী শাহ মো. শহীদুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে রাণীনগর উপজেলাকে শতভাগ গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষনা করার আনন্দে অনুষ্ঠানে আগত সকলকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গৃহিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ধাপের আওতায় উপজেলার একডালা, কালীগ্রাম, বড়গাছা ও কাশিমপুর ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৯০টি, ২য় পর্যায়ে ৩৩টি ও ৩য় পর্যায়ে ৫৩টিসহ মোট ১৭৬টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি বাড়িতে দুটি কক্ষ, সংযুক্ত রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দাও রয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়ন পল্লীতে বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযোগ, বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবয়েল স্থাপন, চলাচলের জন্য রাস্তা ও নামাযের জন্য মসজিদসহ প্রধান প্রধান প্রয়োজনগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জেলার ৮টি উপজেলায় ১৯৭টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারের মাঝে নতুন করে এই বাড়িগুলোর মালিকানা হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলায় এর আগে প্রথম ধাপে ১হাজার ৫৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫০২টি, ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপে ৫৪০টিসহ মোট ২হাজার ৯৮টি গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
মণীষ চন্দ্র বিশ^াস গৌরনদী
মুজিবর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে ২৬ হাজার দুইশ’ ২৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারই অংশ হিসেবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৯২টি ও আগৈলঝাড়া উপজেলার ৭১ টি ভূমিহীন পরিবার বসতঘর পাওয়ায় তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে দুই উপজেলার ১৬৩ জন ভূমিহীনদের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। গৌরনদী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে শহীদ সুকান্ত বাবু মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন, ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া আফরোজ হেলেন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ অহিদুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীব। অপরদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকালে শহীদ সুকান্ত বাবু মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেহের নিগার তনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, মলিনা রানী রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশরাফ হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা সহ অন্যান্যরা।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন আরও ১৯ পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ওইসব পরিবারের হাতে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতাধীন দুর্গা জেলায় ১ম পর্যায়ে ৩৫টি ও ২য় পর্যায়ে ৪৫টি গৃহের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবার ৩য় পর্যায়ে মোট ৬৪টি বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহের মধ্যে ১৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে বাকী ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্জন কর, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৩য় পর্যায় ২য় ধাপে গঙ্গাচড়ায় ঘর ও জমি পেল ১০২ জন ভূমিহীন গৃহহীন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পরেই গঙ্গাচড়ায় জমির দলিল ও ঘরের সনদ, চাবি তুলে দেন প্র্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ আলহাজ্ব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিটিভির মাধ্যমে দেখানো ও জমির দলিল এবং ঘরের সনদ প্রদান আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ উদ্দিন পিএএ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহম্মেদ লাল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবিয়া বেগম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সুধীজন। এছাড়া প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে প্রধানমন্ত্রী উপহারের খাদ্য দেওয়া হয়।
সিলেট ব্যুরো
সিলেট বিভাগের আরও ৮১৮ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি এসব ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হয়েছে। আজকের ৮১৮টি ঘরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০৬টি রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়। সিলেটে ও হবিগঞ্জে ১২৬টি করে এবং মৌলভীবাজারে ১৬০টি ঘর প্রদান করা হবে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের ঘর উপহার দেওয়া। গৃহ ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণের লক্ষ্যে সিলেট জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৩টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ৩য় পর্যায়ে ১২৬টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হবে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে সিলেট সদরে ২৬টি, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৪০টি, কোম্পানীগঞ্জে ১৫টি, ফেঞ্চুগঞ্জ ২৯টি ও জৈন্তাপুর উপজেলায় ১৬টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ রেনু, রেভিনিউ ডেপুটি কালেকটর আফসানা তাসলিম, সহকারী কমিশনার পল্লব হোম দাস ও সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম। জেলা প্রশাসক জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিলেট জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রদত্ত ৪ হাজার ৬৯টি ঘরের মধ্যে সিলেট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ২ হাজার ৮ শতাধিক ঘর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮০টি ঘর। এর মধ্যে ৩১৪টি ঘরের মাটি অপসারিত হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে ২৬৬টি ঘরের। এছাড়া নির্মাণাধীন আরও ৪৬৬টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আব্দুল কাইয়ুম জয়পুরহাট
মুবজববর্ষে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভূমি-গৃহহীন ১০৪জন পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের রঙিন ঘর। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩য় ধাপে এ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কনফারেন্সের উদ্বোধনের পর উপজেলার বালিঘাটা, ধরঞ্জি, আয়মারসুলপুর, বাগজানা, আটাপুর, মোহাম্মদপুর, কুসুম্বা, আওলাইসহ ৮টি ইউনিয়নে ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে ১০৪টি পরিবারকে একক গৃহসহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের কাছে ২ শতক জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ১ম পর্যায়ে ৪৫টি, ২য় পর্যায়ে ৩০টি এবং বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন, জয়পুরহাট শাখা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে ২টি মোট ৩১৮টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরমান হোসেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা, জেলা আ.লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল মুন্না, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন, পৌর প্রশাসক আব্দুল কাদের ব্যাপারী, থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মন্ডল, সম্পাদক ও কুসুম্বা ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় সোহরাব হোসেন মন্ডল, রাজিনারা টুনি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ। শেষে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে পাঁচবিবি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে জমি ও গৃহ পেলেন উপজেলার অবশিষ্ট ২৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩য় পর্যায়ে ২৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নীলফামারী জেলার তিস্তা বিধৌত নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকা ডিমলা উপজেলাকে প্রথম ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রুপাহারা গ্রামে ২৫ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধন করেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, ইউএনও বেলায়েত হোসেন, এ্যাসিল্যান্ড ইবনুল আবেদিন, উপজেল ভাইস চেয়ারম্যান নিরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সিদ্দিকা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার ওসি লাইছুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান মানিক, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহাকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৮৬টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও ভূমি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানমের সভাপতিত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমি ও গৃহ প্রধান কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং গৃহহীন পরিবারকে ঘর ও ভূমি হস্তান্তর করেন পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হুমাউন কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড.এম মতিউর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, ওসি মোঃ এনামুল হক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন সহ উপজেলা বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।