দীর্ঘ ২২ বছর পর বহুল আলোচিত দোহার পৌরসভার সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ হাজার ৭৪০ জন ও নারী ভোটার ২১ হাজার ৩২৬ জন। ২১টি কেন্দ্রের ১৩৪টি ভোট কক্ষে ২০১টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪৩ হাজার ভোটারের এ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আট প্রার্থী। তাদের মধ্যে পাঁচজনই আওয়ামী লীগ নেতা। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (হেলমেট), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ (নারকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম বেপারী (ইস্ত্রি), আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর আলমাছ উদ্দিন (জগ), আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (চামচ), ঢাকা জেলা কৃষক লীগ নেতা মো. জামাল উদ্দিন (মোবাইল ফোন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আমজাদ হোসেন (হাতপাখা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরহাদ হোসেন (কম্পিউটার)। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দীর্ঘদিন পর ভোট হওয়ায় ভোটাররাও খুশি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় থাকলেও বিরাজ করছে উৎসবমূখর পরিবেশ। ভোটারদের প্রত্যাশা নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনী এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একাধিক ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দায়িত্ব পালন করছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনে এখনো পর্যন্ত কোন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে নি। নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটাররা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুন্দর হচ্ছে। আমরা ভোট দিতে পেরে দারুন খুশি অপরদিকে অনেক ভোটাররা ইভিএম ভোট দিতে বিরম্বনায় পরছেন বলে অভিযোগ করছেন। ইভিএমে ফিঙ্গার নিতে অনেক সময় নিচ্ছে বলে ও অভিযোগ করছেন বয়স্ক ভোটাররা। এন এস আই, বি জি এফ আই সহ অনেক গোয়েন্দা সংস্থা এ নির্বাচন পর্যবেক্ষন করছেন।