বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড়বাশবাড়িয়া এলাকায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে গনধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (০১ আগস্ট) দুপুরে বাশবাড়িয়া এলাকায় আসামীদের স্বজনসহ দু শতাধিক স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বড়বাশবাড়িয়া এলাকার দিলারা বেগম, ফারুক হাওলাদার, হারুন অর রশীদ, ফিরোজ হাওলাদার, নাজমা বেগম, শিরিন বেগম, রেখা বেগম, হান্নান হাওলাদার, হামিদা বেগম, গোলবাবু বেগম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ধর্ষণের আসামী সাইফুল ইসলাম ও রাব্বি হাওলাদারদের সাথে গন ধর্ষণের অভিযোগ আনা ওই নারীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরেই ওই নারী এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। স্থানীয় জব্বার হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বলেন, ২০১৩ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনা ঘটেছিল ওই নারীর সাথে। তখন আমার ছেলে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও, আমার ছেলের নামে মামলা দেয় এই নারী। পরবর্তীতে টাকা পয়সা দিয়ে এই ঘটনার মীমাংসা করা হয়। বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের শিক্ষার্থী ও বড় বাশবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা কেএম সাকিব বলেন, এই নারী একজন মাদক ব্যবসায়ী, মামলাবাজ। জমিসংক্রান্ত বা অন্য যেকোন বিরোধ সৃষ্টি হলেই সে বিরোধকারীদের নামে প্রভাবশালী লোকদের প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেন। এর আগেও এলাকার নিরিহ মানুষদের নামে কয়েকটি সাজানো মামলা দায়ের করেছেন এই নারী। পরবর্তীতে প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় টাকার বিনিময়ে ওই মামলার সমাধান করা হয়। আমরা এলাকাবাসী শান্তিতে বসবাসের জন্য এসব মিথ্যা মামলা থেকে আসামীদের মুক্তি এবং মিথ্যা অভিযোগকারীর শাস্তির দাবি জানাই। ডেমা ইউনিয়ন তাতীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: ফিরোজ বলেন, ওই বিতর্কিত নারী একজন মাদক ব্যবসায়ী ও দেহপরাসিনী। সে এলাকার নিরিহ মানুষদের নামে কয়েকটি ধর্ষনের মামলা দিয়ে আবার প্রভাবশীদের মাধ্যমে টাকা পয়সা নিয়ে মিট মিমাংশা করে। এবারো তদরুপ ধর্ষন মামলা দিয়ে ৫ আসামীর পরিবারের কাছে মিট মিমাংশার জন্য ৫লক্ষ টাকা দাবী করেছে। বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, গনধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা করেছি। ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে,তবে এখনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এছাড়া ধর্ষনের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। গনধর্ষণের অভিযোগ এনে ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম, রাব্বি হাওলাদারসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২৪ জুলাই রাতে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা সাইফুলসহ ৫জন তাকে ধর্ষণ করেন।ওই মামলার প্রধান আসামী সাইফুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।