রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
খেলাধুলার মাধ্যমে মাদককে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে-মাফরুজা সুলতানা মাইলস্টোন কলেজে নবম শ্রেণির বালিকাদের অংশগ্রহণে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিতাড়িত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে: তারেক রহমান সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ  ‘বিবেচনায় রয়েছে’: বদিউল আলম ১৬ বছর বঞ্চিতদের এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বইমেলয় স্টল বরাদ্দের দাবি ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম আমাদের শিক্ষা কর্মসংস্থান খোঁজার মানুষ তৈরি করছে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা সেন্টমার্টিন: ‘স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষা’ আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল ১৫ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে সময় লাগবে: মির্জা ফখরুল

নড়াইলের অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবে ২শ’ খেজুর গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ

বাসস:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২

প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠা,অতিথি পাখিসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয়ারণ্য বলে পরিচিত নড়াইলের অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবে ২শ’ খেজুর গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।খেজুরের রস ও গুড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ হেরিটেজ স্টাডি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ৪ বছরের মধ্যে অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবসহ জেলাব্যাপী প্রায় ৭ লাখ খেজুর গাছ লাগানো হবে বলে ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে।
পাখি ও প্রকৃতি প্রেমিক অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য খবির উদ্দিন আহমেদ জানান, একসময় শীত মৌসুমের শুরুতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস সংগ্রহ করার কাজে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হতো হরেক রকমের পিঠা-পুলি এবং সুস্বাদু গুড়। নড়াইল ও যশোরের খেজুর গুড়ের খ্যাতি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এছাড়াও খেজুর গাছ নদীভাঙ্গন রোধ ও সড়কের ভাঙ্গন রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এ গাছ রোপণের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবে প্রায় ২০০ গাছ রোপণ করা হবে বলে তিনি জানান।
অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের কর্ণধার খবির উদ্দিন আহমেদ আরো জানান, প্রায় ৫০ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা এ রিসোর্ট ও গলফ ক্লাবে খেজুর গাছ লাগানোর কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রকৃতির ছোঁয়া আরো একধাপ এগিয়ে যাবে এখানে।শীতের মৌসুমে আগত পর্যটকরা এখানে লাগানো খেজুর গাছ থেকে আহরিত রস খেতে পারবেন।শহরের অধিবাসী তথা কর্মব্যস্ত মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা এখানে ঘুরতে এসে প্রায় বিলুপ্ত খেজুর গাছসহ অন্যান্য ফলজ ও বনজ গাছের প্রাকৃতিক পরিবেশের সবটুকু আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।এ রিসোর্টে রয়েছে বড় বড় কয়েকটি পুকুর।পুকুর ভরা রয়েছে দেশী প্রজাতির মাছ। পুকুরে ভেসে থাকা বড় সাইজের মাছগুলোও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনদের নিয়ে দীঘি আকৃতির পুকুরের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর জন্য জন্য রয়েছে সাম্পানের মতো তৈরি নৌকা। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মৎস্য শিকারীরা মাঝে-মধ্যে মাছ শিকার করে থাকেন এখানকার পুকুরে। এখানে রয়েছে সুইমিং পুল ও ঝুলন্ত সেতু। পর্যটকদের ক্লান্তি দূর করতে নৈসর্গিক রিসোর্টের বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে মনোমুগ্ধকর ফুলের গাছ ও ফলদ বৃক্ষ। গোলাপ, বেলিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের সুরভিত ঘ্রাণ রিসোর্টের পরিমন্ডলকে আরো বেশী আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখানে শীত মৌসুমের অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আপন মনে ঘুরাঘুরি করে থাকে। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারির কারণে পাখি শিকার বা পাখিদের প্রতি বিরূপ আচরণ বন্ধ থাকায় এ রিসোর্টের গাছপালা সারবছরই পাখিদের দখলে থাকে। দূর-দূরান্তের পর্যটকদের জন্য রয়েছে রিসোর্ট অভ্যন্তরে খাওয়া ও রাতে আবাসনের ব্যবস্থা। এখানে ১২টি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষসহ মোট ৩৫টি থাকার রুম রয়েছে।দিনরাত সার্বক্ষণিক রয়েছে জোরদার নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com