দরপত্র আহ্বান ছাড়াই জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস ভবন ভাঙা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা না করেই উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বলে ভবনটি ভেঙে নিচ্ছেন। কয়েক বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল ভবনটি। কার্যক্রম চলছিল স্বাভাবিক গতিতে। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম। এদিকে, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভবন ভাঙার বিষয়ে সঠিক তথ্য জানে না ইউএনও। আর উপজেলা চেয়ারম্যান বলছে, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তেই ভবন ভাঙা হচ্ছে। এতে করার কিছুই নেই। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় মেলান্দহ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ভবন। পরে ওই ভবনেই কার্যক্রম চলছিল স্বাভাবিক গতিতে। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, ব্যাহত হয় উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা বা ভাঙার দরপত্র আহবান না করেই ভবনটি ভেঙে ফেলছেন। ভবন ভাঙার দায়িত্ব পালন করছেন মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। মনগড়াভাবে সরকারি ভবন ভাঙায় স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মেলান্দহ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি সাব রেজিস্ট্রার অফিস ভবন ভাঙার দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে পুরাতন ভবনের মালামাল ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। অপর দিকে ভাড়ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান জানান, দরপত্র আহবান করা না হলেও উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তেই সাব রেজিস্ট্রার অফিস ভবন ভাঙা হচ্ছে। এতে করার কিছুই নেই।মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম মিয়া বলেন, এখানে আমি নতুন এসেছি। আমার আগের স্যারের সময় করা হয়েছে। হয়তো স্যার প্রসেডিং করে যেতে পারে। আর যদি সন্দেহ থাকে তা হলে আবারও খোঁজ নিয়ে দেখব।