মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

কোরআনের শিক্ষা মুমিন জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন

মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

কোরআনের শিক্ষা মুমিন জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। কোরআনজুড়ে মুমিনের জন্য আছে জীবন চলার অসংখ্য পাথেয়। তন্মধ্য থেকে ১০টি বিশেষ পাথেয় বর্ণনা করা হলো।
১. আল্লাহভীতি : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিন জীবনে সর্বোত্তম পাথেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা উত্তম কাজের যা কিছু করো আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কোরো। তাকওয়াই (আল্লাহভীতি) শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা, তোমরা আমাকে ভয় কোরো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৭)
২. ইখলাস বা নিষ্ঠা : শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো কাজ করাকে ইখলাস বা নিষ্ঠা বলা হয়। কোরআনে ইখলাস অর্জনের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং নামাজ আদায় করতে ও জাকাত দিতে। এটাই সঠিক দ্বিন। ’ (সুরা বাইয়িনাহ, আয়াত : ৫)
৩. আল্লাহর ওপর ভরসা : আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই; আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা। ’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)
৪. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ : ফরজ ইবাদতগুলো যথাযথ পালন করা মুমিনের জন্য আবশ্যক। বিশেষত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যতœবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি। এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)
৫. ভালো কাজে লিপ্ত থাকা : ভালো কাজে লিপ্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভালো কাজ কোরো, যেন তোমরা সফল হতে পারো। ’ (সুরা হজ, আয়াত : ৭৭)
৬. হালাল উপার্জনে সচেষ্ট হওয়া : অবৈধ উপার্জন আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে অন্যতম বাধা। তাই মুমিন হালাল উপার্জনে সচেষ্ট থাকবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। ’ (সুরা জুমা, আয়াত : ১০)
৭. অসহায়দের সাহায্য করা : অসহায় মানুষদের সাহায্য করলে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন। পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ অসহায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বি তের অধিকার। ’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৯)

৮. অন্যায়ের প্রতিবাদ করা : ইসলাম সমাজের অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করতে শেখায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে; তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দান করো, অসৎ কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহতে বিশ্বাস করো। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
৯. দ্বিনের দাওয়াত দেওয়া : দ্বিনের পথে আহ্বান করা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি আয়াত জানা থাকলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন। আর কোরআনের নির্দেশ হলো, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কোরো প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দ্বারা। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২৫)
১০. বেশি বেশি দোয়া করা : দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। মুমিন সর্বাবস্থায় বিনীত হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। বিশেষত গভীর রাতে আল্লাহর প্রার্থনা করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা রাতের সামান্য অংশই অতিবাহিত করত নিদ্রায়, রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত। ’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৭-১৮)




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com