৩৭৯টি স্বর্ণ পদকের মধ্যে ১৪৫টি জিতে পদক তালিকায় প্রথম হয়েছে তুরস্ক। দ্বিতীয় হওয়া উজবেকিস্তান এর ধারে কাছেও নেই। ৫১টি স্বর্ণ জিতেছে উজবেক ক্রীড়াবিদরা। তৃতীয় হওয়া ইরানের স্বর্ণ ৩৯টি। প ম ইসলামী সলিডারিটি গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর এই স্বর্ণ উৎসবের মধ্যে বাংলাদেশ শত চেষ্টা করেও একটি স্বর্ণ জিততে পারেনি। মাত্র দু’দল থাকায় আরচারির কম্পাউন্ড দলগততে রৌপ্য জয় বাংলাদেশের। এই আরচারিতেই অন্য দুই ব্রোঞ্জ। তবে বাংলাদেশ আরো দু’পদক পেত যদি জাজ বা রেফারিদের অবিচারের শিকার না হতো লাল সবুজ ক্রীড়াবিদরা। এই অভিযোগ উঠেছে জিমন্যাস্টিক্স ও কারাতেতে।
কারাতেতে গতপরশু হুমায়য়ারা আক্তার অন্তরা ১-২ পয়েন্টে মরক্কোর কারাতেকার কাছে হারেন। যদিও বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেনের অভিযোগ, ‘আমরা এই ইভেন্টে জয়ই পেতাম মরক্কোর প্রতিযোগীর বিপক্ষে। পয়েন্ট আমারই পেয়েছিলাম। কিন্তু জাজরা তা আমাদের দেয়নি। পরে আমরা আপিল করলেও জাজরা বলেছেন তারা নাকি দেখতে পারেননি। আমরা আপিলে জিতলে দুই পয়েন্ট যোগ হতো। এতে অন্তরাই জিততো।’ টিভি রিপ্লেতে আমরা পরিষ্কার দেখেছি পয়েন্ট পেয়েছে অন্তরা।
তিনি যোগ করেন, আমরা মরক্কোকে হারাতে পারলে পরের রাউন্ডে প্রতিপক্ষ পেতাম ক্যামেরুনকে। তারা একেবারেই দুর্বল। তাদের বিপক্ষে জেতারই কথা ছিল। ওই ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত ছিল ব্রোঞ্জ। ইকবাল ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, জাজদের অবিচার তথা পক্ষপাতিত্বের কারণে আমরা মরক্কোকে হারাতে পারিনি মহিলাদের ৬১ কেজি ওজন শ্রেণিতে।
কয়েকটি ইভেন্টের মতো বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছিল জিমন্যাস্টিক্সেও। এখানেও বাংলাদেশ জাজদের বাজে সিদ্ধান্তের শিকার। বিষয়টি উল্লেখ করে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘আমাদের জিমন্যাস্টের ল্যান্ডিং ঠিকই ছিল। এরপরও পয়েন্ট কম দেয়া হয়েছে।’ এর আগে লন্ডন অলিম্পিকেও বাংলাদেশের জিমন্যাস্ট যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী সাইক সিজার বাজে জাজমেন্টের শিকার হন। তখন বিওএর কর্মকর্তা এর বিপক্ষে আপিল না করায় পরে তার সমালোচনা করে বিওএ। অলিম্পিকের মতো বড় আসরে ক্রীড়াবিদরা জাজ ও রেফারির পক্ষপাতিত্বের শিকার হয়। এবারের বাংলাদেশও এই পরিস্থিতির শিকার। এতে বড় লোকসানই হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের কোনিয়া থেকে আজ দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। গত পরশু বলতে গেলে সাদামাটা সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নেমেছে এবারের কোনিয়া ইসলামী সলিডারিটি গেমসের।