বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা পেলে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে-মাফরুজা সুলতানা সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস হাফেজা আসমা খাতুনের ইন্তেকালে বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমির শোক দেশের মেধাবী ও আদর্শবান লোকদেরকে দলে আনার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন: তারেক রহমান গোদাগাড়ীতে টমেটো চাষে ‘নীরব বিপ্লব’ ট্রাম্পের কাছে বাস্তববাদী পদক্ষেপ আশা করছে ইরান ভূমি উপদেষ্টা হলেন আলী ইমাম মজুমদার দিন-তারিখ ঠিক করে সংস্কার করা অন্তর্র্বতী সরকারের কাজ নয়:খন্দকার মোশাররফ রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে: ফখরুল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর

পাঠ্যপুস্তকে বৈজ্ঞানিকভাবে অপ্রমাণিত এবং বিভ্রান্তিকর বিবর্তনবাদ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণলব্ধ প্রমাণ ছাড়া কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্বই প্রমাণিত নয় বলে বিবর্তনবাদ এখনো অপ্রমাণিত এবং বিভ্রান্তিকর। এই পার্থক্যটি বৈজ্ঞানিক দর্শনের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এতে নিশ্চয়তার অভাব আছে। সূত্র : Natural Selection and the Emergence of MindÓ. Dialectica. Oxford, UK: Blackwell Publishers. অথচ নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ের ২৭৬ পৃষ্ঠায় পড়ানো হচ্ছে, “বিবর্তনের বিপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীবজগৎ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান যতই সমৃদ্ধ হচ্ছে, বিবর্তনকে অস্বীকার করা ততই অসম্ভব হয়ে পড়ছে”। নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১০২ ও ১১২ পৃষ্ঠায় পড়ানো হচ্ছে, “জীবজগতের যে পরিবর্তন বা বিবর্তন ঘটেছে, তার সপক্ষে একাধিক প্রমাণ আছে”। “পৃথিবীর সব বিজ্ঞানীকে নিয়ে একবার একটা জরিপ নেওয়া হয়েছিল, জরিপের বিষয়বস্তু ছিল পৃথিবীর নানা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ কোনটি। বিজ্ঞানীরা রায় দিয়ে বলেছিলেন, বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ তত্ত্ব হচ্ছে ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব”।
ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এই তত্ত্ব নিয়ে যেমন বিতর্ক রয়েছে, তেমনি এই তত্ত্ব ইসলামী আকিদা বা বিশ্বাসের সাথেও সাংঘর্ষিক। কয়েক বছর আগে তুরস্কে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। মুসলিম বিশ্বসহ অনেক দেশেই তা পড়ানো নিষিদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক থেকে অবিলম্বে তা তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নবম শ্রেণি থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বিবর্তনবাদ বিষয়ক পাঠের মাধ্যমে এরূপ বদ্ধমূল ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে, মানবজাতিসহ সমগ্র প্রাণিজগৎ ও সমগ্র মহাবিশে^র বর্তমান অবয়ব বিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বর্তমান অবস্থায় এসেছে। সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে মানুষকে নাস্তিক্যবাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে তা কখনোই কাম্য না।
‘বিবর্তন মতবাদ’ মানুষ ও বানরের পূর্বপুরুষ একই সাব্যস্ত করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ মতবাদ মুসলমানদের ঈমান-আকিদাবিরোধী কুফরী মতবাদ। এ মতবাদে বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না। কারণ পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে বলেছেন, মানবজাতির উৎপত্তি হজরত আদম (আ.) থেকেই শুরু হয়েছে। বিবর্তনতত্ত্ব মতে, শুধু মানুষের আদি পিতাকে বানর সাব্যস্ত করেই থামে না। বরং এই মহাবিশ্ব, গ্রহ, উপগ্রহ, সমগ্র প্রাণিজগৎ এবং তরুলতাসহ সকল সৃষ্টি যে অত্যন্ত সুনিপুণ ও সুবিন্যস্তভাবে আল্লাহ তায়ালা নিজ কুদরতে সৃষ্টি করেছেন, এই বিশ্বাসটাই আর অক্ষুণœ থাকে না।
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, বিবর্তনবাদ একটা কুফুরী মতবাদ। শিরক মিশ্রিত জাহেলি আকিদা। পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের ইসলামবিরোধী, তাওহীদবিরোধী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ স্পষ্ট ঘোষণা করছেন, অর্থাৎ- “হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনিকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সূরা নিসা : ১)। তিনি বলেন, প্রথম মানব হজরত আদম (আ.), এরপর হাওয়া (আ.) এবং তার ধারাবাহিকতায় মানুষের বংশ বিস্তার ঘটছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলাম বিরোধী অংশ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী শক্তিই নাস্তিক্যবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমি উহাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। পরে আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি। এরপর সেই মাংসপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি। অতঃপর অস্থি-পিঞ্জরকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি। অবশেষে তাকে এক নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি”। সূরা মু’মিনূন : ১২-১৪)।
পবিত্র কুরআনে আরো এরশাদ হচ্ছে- “হে বনী আদম! শয়তান যেন তোমাদের বিভ্রান্ত না করে- যেভাবে সে তোমাদের পিতা-মাতা (আদম-হাওয়া)কে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে…”। (সূরা আল-আ’রাফ : ২৭)। পবিত্র কুরআনের আয়াতে স্পষ্টতই প্রমাণ হয় সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর থেকেই মানবজাতির উৎপত্তি ও বিস্তার শুরু হয়েছে। এই মহাবিশ^ এবং এতে বিরাজমান সকল প্রাণী, বৃক্ষরাজি ও তরুলতা অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর হুকুম ছাড়া প্রকৃতির খেয়ালে একটা ধূলিকণাও সৃষ্টি হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সাধারণ বিজ্ঞান, নবম ও দশম শ্রেণি, পৃষ্ঠা নং-১০০ থেকে ১১২ পর্যন্ত, জীব বিজ্ঞান, নবম ও দশম শ্রেণি, পৃষ্ঠা নং-২৭০ থেকে ২৭৬ পর্যন্ত, জীববিজ্ঞান ২য় পত্র, (গাজী পাবলিশার্স-ঢাকা), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, পৃষ্ঠা নং-২৮৭ থেকে ৩০০ পর্যন্ত, সমাজবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, পৃষ্ঠা নং-২৫১ থেকে ২৫৬ পর্যন্ত পাঠ বিবর্তনবাদের আলোকেই লেখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর প্রায় ৯৯% চিকিৎসা বিজ্ঞানী মানুষ ও বানরের পূর্বপুরুষ যে এক; এটা স্বীকার করেন না। কোষ বিজ্ঞান বা আণবিক বিজ্ঞান দ্বারা বিবর্তনকে প্রমাণ করা যায় না। বিবর্তন যদি কোন প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু হতো, তবে উন্নত দেশসমূহ যেমন- আমেরিকা, তুরস্ক, রুমানিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে বির্বতন শিক্ষাকে বাতিল করা হতো না।
বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হচ্ছেÑ “বিবর্তনের বিপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীব-জগৎ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান যতই সমৃদ্ধ হচ্ছে, বিবর্তনকে অস্বীকার করা ততই অসম্ভব হয়ে পড়ছে”। (জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, ২৭৬ পৃষ্ঠা)।
সৌদি আরব এবং সুদানে বিদ্যালয়ে বিবর্তন পাঠ দেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সৃষ্টি বাদ বিজ্ঞানকে পশ্চিম ইউরোপে প্রাথমিকভাবে হারুন ইয়াহিয়ার কারণে পাঠদানে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিবর্তনবাদের বিপরীতে সাবেক কুইনস রাজ্যের সরকার জো বেজলকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টিবাদকে পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত করে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান তৈরি হয়েছে।
তুরস্কে ২০১৭ সালে স্কুলের পাঠ্য থেকে বিবর্তনবাদকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ সময় স্কুলপড়ুয়াদের জন্য নতুন সিলেবাস তৈরি করে তুরস্ক সরকার। নতুন সিলেবাসে বির্বতনবাদসংক্রান্ত ঞযব নবমরহরহম ড়ভ খরভব ধহফ ঊাড়ষঁঃরড়হ অধ্যায়টি বাদ দেয়া হয়। তুরস্ক শিক্ষা দপ্তরের যুক্তি, ‘বিতর্কিত’ এই বিষয়টি বুঝতে স্কুলের সাধারণ ছাত্রদের সমস্যা হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিবর্তনবাদ’ পড়ানো হবে। ২০১৩ সাল থেকে বিবর্তনবাদ নিয়ে বই ছাপাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের তৎকালীন মহাসচিব মরহুম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ২০১৯ সালে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, পাঠ্যবইয়ে বিবর্তন শিক্ষার নামে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার প্রতি উদ্দীপ্ত করে এবং আল্লাহর অস্তিত্ব, পরকাল ও ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসী এবং ভোগবাদের প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলেÑ এমন পাঠ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হচ্ছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে ধর্মকে উল্লেখ করেছে ‘নিরক্ষর সমাজের সরল মানুষের চিন্তা- চেতনার ফসল’ হিসেবে। তিনি বলেন, এই বিবর্তনবাদের শিক্ষা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই যে গুরুতর আপত্তিকর এমন নয়, বরং পৃথিবীর লাখ লাখ ডক্টরাল বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, পৃথিবীতে কখনো এভাবে বিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেনি। বিবর্তন ঘটে প্রজাতির বয়স, আকৃতি, বৈশিষ্ট্য এর ওপরে। কিন্তু বিবর্তনের দ্বারা নতুন প্রজাতির কখনো উদ্ভব হয় না। তিনি বলেন, এখন যে শিক্ষার্থীরা এগুলো পড়ছেন, তারা আগামীতে বাবা-মা হবেন। বাবা-মা যদি সৃষ্টিকর্তার ধারণায় সন্ধিহান থাকেন, তবে সন্তানরা কী করবে? অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম সবগুলো মাধ্যম থেকে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার শিক্ষা পাবে। পরিশেষে এরাও একসময়ে ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানবে না। ধর্মীয় বিয়ে মানবে না। বিয়ের বহুবিধ দায়বদ্ধতা ছাড়াই লিভ টুগেদারে আগ্রহী হবে। মদ, জুুয়ার বিধিনিষেধ মানবে না। সমকামিতার বৈধতা নিয়ে আন্দোলন হবে। আল্লাহ, রাসূল, ইসলাম নিয়ে কটূক্তি বাড়তে থাকবে। আলেম-ওলামা, ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মভীরু মানুষকে বাধা ও বিরক্তিকর ভাবতে শুরু করবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো- স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালন, ধর্মীয় শিক্ষার্জন সকলের নাগরিক অধিকার। তেমনি প্রতিটি নাগরিকের যার যার ধর্মীয় বিশ্বাস-ধারণকে যে কোন হুমকি ও আগ্রাসী তৎপরতা থেকে রক্ষা করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের ধর্মীয় আকিদা-বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরোধী ডারউইনের বিবর্তনবাদ শিক্ষা দেওয়া সংবিধান প্রদত্ত ধর্মীয় অধিকার রক্ষার বিধানের গুরুতর লঙ্ঘন। মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের ঈমান-আকিদাবিরোধী বিবর্তন শিক্ষার পাঠ দেওয়া সংবিধান বিরোধী বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শুধুমাত্র স্কুল-কলেজ নয়, মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকেও এই মতবাদ সংযুক্ত করা হয়েছে। দাখিলের নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ের ২৭৬ পৃষ্ঠায় বিবর্তনবাদের পক্ষে যুক্ত দিয়ে বলা হয়েছে, “বিবর্তন যে শুধু প্রকৃতির কোলে ঘটে তা নয়। গবেষণাগারেও পরীক্ষামূলকভাবে বিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এটাও বিবর্তনের বাস্তবতার প্রমাণ। বিবর্তনের বিপক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না। জীবজগৎ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান যতই সমৃদ্ধ হচ্ছে, বিবর্তনকে অস্বীকার করা ততই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।”
বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক ফজলুল করীম বলেন, বিবর্তনবাদ সম্পূর্ণরূপে ইসলামী আদর্শ ও বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন ইসলামবিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তিনি অবিলম্বে বিবর্তনবাদসহ শিক্ষাক্রম থেকে ইসলামবিরোধী অংশ বাদ দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ২০১০ সালে কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তা মূলত ১৯৭২ সালের ড. কুদরাত ই খুদা শিক্ষা কমিশন ও ইংরেজদের কমিশনগুলোর প্রতিফলন ঘটে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন একসময়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাহিদ। এই শিক্ষানীতির মধ্য দিয়ে দেশকে সেক্যুলার ভাবধারার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মূলত নতুন প্রজন্মকে ইসলাম বিদ্বেষীরূপে গড়ে তোলার অংশ হিসেবেই এ ধরনের শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে।-তথ্যসূত্র: সোনার বাংলা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com