সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

ভালো দাম পাওয়ায় এক জমিতে বছরে ৩ বার ধান চাষ করা হচ্ছে

বাসস:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

ধানে ভালো দাম পাওয়ায় বগুড়ার কৃষক এখন এ্কই জমিতে আমন, বোরা ও আউশ চাষ করছে। ধান উৎপাদনে জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলা জেলা শীর্ষে। বোরোর পর অন্য ফসলে না গিয়ে সেখানকার কৃষক আউশ চাষে ঝুঁকেছে।
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুবাতেঘর এলাকায় আউশ ধান কাটাতে ব্যস্ত। জেলার নন্দীগ্রাম এলকায় দ কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ বছরে ৩ বার আমন , বোরো ও আউশ ধান চাষ করে আসছেন। আউশে ভালো দাম পাওয়া ও আউশ চাষে সরকারি প্রণোদনা পেয়ে তাদের উৎসাহ বেড়েছে। এতে ফলনও ভালো হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে তিন মাসে পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করে বেশ লাভবান ওই এলাকার কৃষকেরা।
বছরের এ সময়টিতে জমিতে পাকা ধান থাকার কথা না থাকলেও ডুবাতে ঘরে দেখা মিলবে রাস্তার দুই পাশের জমিতে এখন সোনালী আউশ ধানের সমারোহ এবং তার পাশাপাশি নতুন ধানের চারা রোপণ করার দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সোনালী পাকা আউশ ধান কেটে কৃষকেরা উঁচু জায়গায় রেখে ধান মাড়াইয়ের কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বছরের তিন মাস জমি ফেলে না রেখে এ আউশ চাষে ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় চাষ করার আগ্রহী হয়েছেন এলাকার কৃষকরা। বছরে ৩ বার ধান চাষ করে প্রতি বিঘাতে ৬০-৭০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তারা। এমনকি বোরো ও আমন চাষে কম ফসল পেলে আউশ চাষ করে তা পুষিয়ে উঠা সম্ভব বলেও জানালেন তারা।
নন্দীগ্রামের কৃষক জানান, কম খরচে ধান চাষ সম্ভব হওয়ায় তাদের লাভ হয়েছে। ধানের ভালো দাম পেলে তারা আরো বেশি লাভবান হবেন। সেই সাথে সার সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান।
ডুবাতেঘরের কৃষক মোঃ বুলু মিয়া জানান, ‘এখন আউশ ধান পরিপক্ক হয়ে উঠেছে।তাই ধান কাটা শুরু করেছি। এর পরপরই জমি হালচাষ করে আবার আমনের চারা লাগাতে শুরু করেছে। আমন শেষে আবার বোরো চারা লাগাব।’
তার কথায়, এখানে জমি ফেলে রাখি না কখনও। ধান কেটে তুলেই ধানের চারা রোপণ করে থাকি। কেউ কেউ এ এর মধ্যে রবি মৌসুমের ফসল চাষ করে। তবে অধিকাংশই ধান চাষেই বেশি আগ্রহী।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, ‘নন্দীগ্রাম মূলত ধান প্রধান এলাকা। এখানে আউশ চাষ একটি অন্যতম ফসল। বিশেষ করে বোরো ও আমনের পাশাপাশি এ অর্থবছরে আমাদের ৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ করা হয়েছে। যা এখন কর্তন করা শুরুহয়েছে।’ বিঘাপ্রতি আউশের ফলন ২দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন(চাল আকারে)।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাদের ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও সঠিক ভাবে চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ধানের পাশাপাশি রবি মৌসুম ফসলও যেন তারা সংগ্রহ করতে পারেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com