লকডাউন
মূল : নজিউই সিন্থিয়া জেলে
১৪ জুন ২০২০
গত নব্বই দিন ধরে ভদ্রলোক এখানে আছেন এবং তিনি তা ভালো করেই জানেন। কারণ রাষ্ট্রপতি যেদিন জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সেদিনের কথা মনে করে ভদ্রলোক নিশ্চিত হন যে তিনি সেই সময় টেলিভিশনের সামনে বসা ছিলেন এবং টেলিভিশনের পর্দার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি পুরো দেশ লকডাউনে থাকার হুকুম জারি করেছেন। কেননা ভাইরাস উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাচ্ছিল ।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষ হওয়ার পরমুহূর্তেই হোটেলের রিসেপশন থেকে ফোন আসে।
‘স্যার, আমি নোমা, রিসেপশন থেকে বলছি। আপনি কি ভাষণ দেখেছেন?’
‘হ্যাঁ। আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে।’
‘আমার মনে হয় আপনি যেতে পারবেন না, স্যার। সব এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে। চলাফেরার কোনো অনুমতি নেই। ইতোমধ্যে রাস্তায় সেনাবাহিনী নেমে গেছে। লকডাউন তুলে নেওয়া পর্যন্ত আপনার আরাম আয়েশের জন্য আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা করবো।’
‘কতদিন এমন অবস্থা থাকবে?’
‘আমরা জানি না। স্যার, আপনার নিজের সুরক্ষার জন্য আপনাকে কক্ষেই থাকতে হবে। আমি কি আপনার জন্য অন্য কিছু করতে পারি?’
ভদ্রলোক মাথা নাড়েন।
‘স্যার?’
‘না।’
বলেই ভদ্রলোক ফোন কেটে দেন। তারপর তিনি জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ান। যখন সময় অনুকূল হবে, তখন তিনি সমুদ্রের ধারে হাঁটবেন এবং তাকে গিলে খাওয়ার জন্য সম্দ্রুকে সুযোগ দেবেন।
তিনি একটা চেয়ার টেনে বসেন এবং ল্যাপটপ অন করেন। তারপর লিখতে শুরু করেন :
১৫ মার্চ ২০২০
লকডাউন ।
২১ মার্চ ২০২০
বাইরে থেকে দরজায় একটা টোকার শব্দ তার দুপুরের খাবারের কথা জানান দিয়ে যায়। তিনি দরজা খুলে দেখেন মেঝেতে খাবারের ট্রে রাখা আছে। হোটেলের লোকজন তার কক্ষের নিরাপত্তামূলক সাদা কাপড়ে ঢাকা জিনিসপত্র পরিস্কার করে দিয়ে যায়। কিন্তু তিনি ওদের মুখ দেখতে পারেন না। প্রতিদিন তিনি তার মা এবং মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। না, আমি ভয় পাই না। শীঘ্রই ফিরে আসছি।
৩ মে ২০২০
টেলিভিশনের পর্দায় খবরের আলোর ঝলকানি। ভাইরাস, আইসোলেট, টেস্ট, ট্রিট, ট্রেইস। নতুন সংক্রমণ চার গুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনকি মৃত্যুও। তিনি খবর দেখা ছেড়ে দিয়েছেন। মাস্ক পরিহিত সৈনিকেরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে।
২৯ মে ২০২০
বিদ্যুৎ যায় এবং আসে। তিনি কেটলি গরম রাখেন।
ভদ্রলোক মনে করতে পারেন না এখানে তিনি কেন আছেন। সমুদ্রের তরঙ্গে সুরের মূর্ছনা। যোগাযোগের নেটওয়ার্ক অচল। তিনি রিসেপশনে ডায়াল করেন।
ভদ্রলোক জেগে উঠেন এবং একবার নড়েচড়ে উঠে বসেন। তার কানে শব্দ ভেসে আসে। তিনি দাঁড়ান এবং প্রচ- শক্তি দিয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে দেন। কাচের মতো স্বচ্ছ এক ডজন চোখ তার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ তিনি হোঁচট খাওয়ার ভঙ্গিতে পেছনে সরে আসেন। উড়ে যাওয়ার আগে একঝাঁক কবুতর মলিন চোখে তাকে দেখছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত কবুতরগুলো তার দৃষ্টির সীমানার ভেতরে ছিল, ততক্ষণ তিনি পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
তারপর তিনি দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিয়ে সমুদ্রের দিকে মেলে ধরেন এবং দেখতে থাকেন ঢেউয়ের তালে উপরে-নিচে সাঁতার কাটা শরীরগুলোকে। একসময় তিনি সৈকতের দূরের পানে তাকান। সেখানে সারিবদ্ধভাবে মাছ ধরার ছিপ রাখা হয়েছে। জগিং করা লোকেরা পাশ কেটে চলে যায়। তিনি একবার চোখের পাতা বন্ধ করেন এবং পুনরায় খোলেন।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠে। তিনি চমকে উঠেন।
‘মিষ্টার মাখআনয়া, আপনাকে সজাগ করার জন্য ফোন করেছি। এখন থেকে যে কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতি ভাষণ শুরু করবেন।’
ভদ্রলোক নিশ্চুপ।
‘স্যার?’
‘আমি কোথায়?’
‘লেজেন্ডস্ হোটেলে, স্যার।’
‘আমি কখন চেক-ইন করেছি?’
‘দু’ঘণ্টা আগে।’
ভদ্রলোক টেলিভিশনের সুইচ অন করেন।
১৫ মার্চ ২০২০
টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে ওঠে: লকডাউনের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিন। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। সান্ধ্য-আইন। দেশ অবরুদ্ধ। ভাইরাস এখানে।
‘স্যার?’
লেখক পরিচিতি: দক্ষিণ আফ্রিকার ঔপন্যাসিকা, গল্পকার এবং ম্যানেজমেন্ট কন্সালটেন্ট নজিউই সিন্থিয়া জেলের জন্ম মুমালাঙ্গায়। তিনি আন্তর্জাতিক বিজনেসে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘হ্যাপিনেস ইজ এ ফোর-লেটার ওয়ার্ড’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ২০১১ সালে আফ্রিকা অঞ্চলের বেস্ট ফার্ষ্ট বুক শাখায় ‘কমনওয়েলথ রাইটাস্র্ প্রাইজ’ এবং ‘এম-নেট লিটারেরী’ পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তার এই উপন্যাসের কাহিনি নিয়ে একই শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।বর্তমানে নজিউই তৃতীয় উপন্যাস লেখায় ব্যস্ত এবং এক কন্যা নিয়ে জোহানসবার্গে বসবাস করেন ।
গল্পসূত্র: ‘লকডাউন’ গল্পটি নজিউই সিন্থিয়া জেলের ইংরেজিতে একই শিরোনামের গল্পের অনুবাদ। গল্পটি জোহানসবার্গ থেকে প্রকাশিত ‘সানডে টইমস্’-এ চলতি বছরের ২৯ মার্চ ছাপা হয়।
লকডাউনের বিশতম দিন
মূল : গ্লিন সিনক্লেয়ার
আমি এখন লকডাউনে আছি । সত্যি কথা বলতে কি, আমি আসলে অদ্ভুত এবং অন্যরকম কোন পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছি না । হয়তো তার কারণ যে, আমি একাকি বসবাস করি এবং একধরনের লকডাউনের মধ্যে আমি একাকিত্বের জীবন বয়ে বেড়াচ্ছি সেই ২০০৬ সাল থেকে, যখন আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর আমি একাকি জীবনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।
এই সময়টা আলাদা। অন্য সময়ে মন খারাপ হলে আমি ভি অ্যান্ড অ্যা জাদুঘরে, কিউ গার্ডেনে কিংবা পায়ে হাঁটা দূরত্বে হ্যারডসে যেতাম।
আমার ফ্রিজ ভর্তি খাবার। নিদেন হলেও সেসব খাবার দু’সপ্তাহ, এমনকি তিন সপ্তাহও চলে যাবে। আমার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং টয়লেট পেপার মজুদ আছে। আমি কাপবোর্ড পরিস্কার করা শুরু করেছি, কাজটা অনেকদিন যাবৎ এড়িয়ে গেছি। কোনো কিছুই অতিরিক্ত কাজ না। প্রতিদিন হয়তো একটা বা দুটি কাপবোর্ড পরিস্কার করবো।
যখন আবহাওয়া ভালো হবে, তখন ময়লা পর্দা ধোবো এবং জানালা সাফ করবো। সাধারণত এসব বসন্তকালীন কাজ।
সকালে আমি কাজ শুরু করি। নাস্তা সেরে দোতলায় আমার অফিস কক্ষে যাই এবং ব্যাংকের কাজ সম্পাদন করি, নাকি আমি বলবো ব্যালেন্স দেখি?
ঘরের বাইরে না যাওয়ার অন্যতম ভালো দিক হলো বেশি খরচপাতি করতে হয় না। আমার পরবর্তী কাব্যগ্রন্থের পা-ুলিপি প্রস্তুত করার জন্য মনোযোগ দেই। বেশ কয়েক সপ্তাহের কাজ বাকি আছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা কিংবা দু’ঘণ্টা কাজ করে আমি নিচে নামি।
আমি আমার নাতি-নাতনিদের জন্য সেলাই করি। টেলিভিশন দেখার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আমার সেলাইয়ের কাজ চলে।
তবে ভালো দিক হলো, নাতি-নাতনিরা আমার সঙ্গে ফেসটাইমে যোগাযোগ করে। তখন কাজের প্রতি আমার মনোযোগ আরও বেশি বেড়ে যায়, যা আসলেই চমৎকার।
আমার কাজের তালিকায় রয়েছে বাগানের পরিচর্যা। বাগানটি পরিস্কার করে এমন সুন্দর একটা বাগান তৈরি করবো যেখানে নিরিবিলি হাঁটাচলা করা যায়। গ্যারেজ থেকে স্তূপীকৃত জিনিসপত্র ফেলা দরকার। এটা একটা কক্ষের মতো, যেখানে অপ্রয়োজনীয় গৃহসামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। আমি সেসব জিনিসপত্র সহজেই ফেলতে পারি না। সামান্য কথাবার্তার সঙ্গে আমার নাস্তা খাওয়া নিয়ে আমি একটা শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য মনঃস্থির করেছি এবং নাম রেখেছি ‘রোলকল’। অনেকেই আমাকে সম্মতি দিয়েছে। সুতরাং আমি জানি বন্ধু-বান্ধবীরা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সুস্থ আছে। আমার জন্য কাজটা নতুন। তবে আমি সামান্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এখন আমার পছন্দের কবিতা ভিডিও করছি এবং এক ধরনের দক্ষতা ক্রমশ লাভ করছি।
সাবধানে থাকার জন্য আমি এখন শেষ করবো। ভালো করে হাত ধোওয়া দরকার এবং বাইরে জনারণ্যে না যাওয়াই ভালো।
লেখক পরিচিতি: গ্লিন সিনক্লেয়ার একজন বৃটিশ লিমেরিক লেখিকা এবং কবি। তার পোশাকি নাম ক্লেয়ার গ্লিন চিতন। তিনি গত তিন বছরে তিনটি গ্রন্থ রচনা করেন: ‘দ্য এমিগ্রান্টস্’ (২০১৭), ‘পোয়েটিকস্ বুক অব ১০০ পয়েমস্’ (২০১৮) এবং ‘পোয়েটিকস্ বুক অব পয়েমস্: ভলিউম ২’ (২০১৯)। একাধিক আবৃত্তিকার তাঁর কবিতা রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাঠ করেন।
গল্পসূত্র : ‘লকডাউনের বিশতম দিন’ গল্পটি গ্লিন সিনক্লেয়ারের ইংরেজিতে ‘লকডাউন ডে ২০’ গল্পের অনুবাদ। গল্পটি এ বছরের ২১ মে ‘স্পিলওয়ার্ডস.কম’-এ প্রকাশিত হয়েছে ।
মাস্কের দৈববাণী
মূল : নেল রোজ
এ কাজটি মাস্কই করেছে।
কোনো আবদ্ধ জায়গায় আটকে থাকলে আমি সবসময় আতঙ্কে থাকি। সুতরাং আচম্বিতে মুখোশ পরা লোকজন দেখলে আমার বুকের ভেতর ধুকপুকানী এবং উদ্বেগ বেড়ে যায়।
কেউ কেউ মেডিকেলের সাধারণ মাস্ক পরেছে এবং বাকিরা প্লাস্টিকের মাস্ক পরে মুখম-লের পুরোটাই ঢেকে রেখেছে। তবে সেসব মাস্কের মধ্যে দেখার জন্য চোখের সামনে ছিদ্র রয়েছে।
ভয়ানক, অস্বস্তিকর এবং রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
আমি গভীর শ্বাস নেই এবং চতুর্দিকে তাকাই।
আমি কোন নরকে আছি?
নাকি আমি আদৌ নরকে ছিলাম?
দূরে আগুনের লেলিহান শিখা ভীষণ বেগে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের সঙ্গে পুলিশ গাড়ীর হর্ণ মিলে আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে দিচ্ছিল।
কিছু মানুষ দৌঁড়াতে শুরু করে এবং অন্য পথচারীরা বৃত্তের চতুর্দিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটতে থাকে।
তাদের চোখে হতাশার চিহ্ন ফুটে আছে এবং তাদের সেই চাহনির দিকে দৃষ্টি পড়তেই আমার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা হিম স্রোত নিচে নেমে যায়।
আমি বৃত্তের মতো ঘুরতে থাকি এবং বেপোরোয়া ভাবে খুঁজতে থাকি কোথায় আছি।
কিন্তু কোনো কিছুই আমার কাছে পরিচিত মনে হয় না।
অকস্মাৎ বিরক্তিকর শব্দ এসে আমার কানে আঘাত হানে।
বাড়ি যাও! ঘরের ভেতর থাকো! অবশ্যই এখন তোমাকে রাস্তা ছেড়ে চলে যেতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা থামাতে পারছি না। এক্ষুণি বাড়ি যাও!
উদ্ভ্রান্তের মতো আমি দৌঁড়াতে শুরু করি, কিন্তু জানি না কোথায় যাবো।
তবে আমি জানি, নিজেকে রক্ষা করার জন্য আমার একটা কিছু অথবা কাউকে খোঁজা দরকার। কিন্তু এত মানুষের আতঙ্কিত মুখ আমার মন অন্য দিকে ধাবিত করতে পারেনি।
প্লাস্টিকের পেছনে তাদের কালো চোখ। তখনো ভয়ে জ্বলজ্বল করছিল।
তারপর আমার মনে পড়ে।
জেনিস, আমার মেয়ে।
আমি কেমন করে ওকে ভুলতে পারি? আমাকে বাড়ি পৌঁছুতে হবে এবং চটজলদি।
কিন্তু আমার পা দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন কোনো কিছুর মধ্য দিয়ে দৌঁড়াচ্ছে।
আমি দৌঁড়াই এবং আরও দ্রুত দৌঁড়াই। ঘন ঘন নিঃশ্বাস টানি এবং রীতিমত হাঁপাতে থাকি।
আমাকে বাড়ি যেতে দাওৃ আমাকেৃ
আচমকা আমি থমকে দাঁড়াই। ভীষণ গরমে ঘেমে গেছি। কপাল থেকে ঘামের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে।
শোবার ঘরের দরজার পাল্লা খোলার শব্দে আমি দুঃস্বপ্ন থেকে জেগে উঠি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে জেনিস চিৎকার করছে, ‘বাবা, আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে। সময় মতো আমাকে স্কুলে পৌঁছুতে হবে।’
‘আসছি!’
দরজা বন্ধ। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমি উপলব্ধি করলাম যে, এইমাত্র যা অনুভব করেছি তা আসলে এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন।
কেবল স্বপ্ন মাত্র। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।
আমি উঠে বাথরুমে ঢুকি, শাওয়ার চালু করি এবং চটজলদি গোসল করি। বাইরে বেরিয়ে এসে টিভির রিমোট হাতে নিই।
‘সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সম্ভবত এটা অতিমারির আকার ধারণ করবে। আমাদের অবশ্যইৃ’
আমি স্থির হয়ে যাই। তারপর একসময় কাঁপতে আরম্ভ করি।
লেখক পরিচিতি: বৃটিশ লেখিকা নেল রোজের পুরো নাম নেল রোজ লভরিজ। ইতোমধ্যে তার তিনটি উপন্যাস এবং তিন শ’-এর অধিক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখার মূল বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা, পুনর্জন্ম, দেবদূত, আত্মা জগৎ, বংশ, ভীতিকর কাহিনি এবং স্বাস্থ্য। ‘জিপসিজ: আই ম্যারিড অ্যা রোমানি!: অনেষ্ট, র্য অ্যান্ড এক্সট্রেমলি ফানি (প্রকাশিত: ২০১৭) এবং ‘জিপসিজ ২: গোয়িং অ্যা বিট ডিনলো’ (প্রকাশিত: ২০২০) তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। বর্তমানে তিনি লন্ডনে বসবাস করেন।
গল্পসূত্র: ‘মাস্কের দৈববাণী’ গল্পটি নেল রোজের ইংরেজিতে ‘দ্য প্রফেসি অব মাস্কস্’ গল্পের অনুবাদ। গল্পটি ‘লেটারপাইল’ ম্যাগাজিনে এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল।- বাংলাট্রিবিউন