কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাধীন নগুয়া আয়শা আহাদ দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও নির্বাচন ছাড়াই গঠিত অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে ওই মাদ্রাসার জমিদাতা-প্রতিষ্ঠাতা, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে মাদ্রাসার আজীবন দাতা মোঃ আজিজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল খালেক নানা অনিয়ম, কর্তব্যে অবহেলা ও প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে ২০১৬ সালে সাময়িক বরখাস্ত হন। পরবর্তিতে ২০১৭ সালে এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সুপার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-৫৪৬(১)১৭ দায়ের করেন। এ মামলায় আদালতে সুপার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। পরে তৎকালীন মাদ্রাসা কমিটি সুপারকে অপাসারণের জন্য নির্ধারিত ফিসহ কাগজপত্র বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করলেও অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এই সুযোগে সুপারের বিরুদ্ধে মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত সুপার নজরুল ইসলামের কাছ থেকে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক বিধি বহির্ভুক্ত উপায়ে বরখাস্ত থাকা সুপার মাওলানা আব্দুল খালেক দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ও পূর্ণ বেতন ভাতাদি উত্তোলন শুরু করেন। এদিকে সুপার মাওলানা আব্দুল খালেক ও ভারপ্রাপ্ত সুপাার নজরুল ইসলামের মাদ্রাসার নানা অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সম্প্রতি অতি গোপনে নির্বাচন ছাড়াই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মাদ্রাসার অভিভাবক, মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকাবাসী, মাদ্রাসার জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতার উত্তরাধিকারের পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট মাদ্রাসার সংঘটিত অর্থসাত্মসহ নানা অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে জমিদাতার ছেলে আবু তাহের, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন, অভিভাবক মোশাররফ হোসেন গোলাপ, আমির হোসেন, এলাকাবাসী আজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।