যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ড্রোন আটক করার দাবি করেছে ইরান। যদিও পরবর্তীতে ওই ড্রোন দুটি আবারও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লোহিত সাগরে ওই দুই মার্কিন ড্রোন আটক করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো। বেনামি ওই ড্রোন সামুদ্রিক নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
ইরানের নৌবাহিনী বলছে, আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের রুট নির্বিঘ্ন রাখতে এবং যে কোনো সংঘর্ষ এড়াতে মার্কিন ড্রোন দুটি আটক করা হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গোয়েন্দা ড্রোনের মুখোমুখি হয় জামারান ডেস্ট্রয়ার। এ সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে ইরানি ডেস্ট্রয়ার থেকে ওই মনুষ্যবিহীন সামুদ্রিক ড্রোন পরিচালনাকারী মার্কিন কর্তৃপক্ষকে তাদের ড্রোনের গতিপথ পরিবর্তন করার আহ্বান জানানো হয়। তবে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের রুট সুরক্ষিত হওয়ার পর ওই ড্রোন দুটিকে নিরাপদ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। একটি ফুটেজে দেখা গেছে, একাধিক ইরানি কর্মকর্তা ওই দুটি ড্রোনকে জাহাজের ডেক থেকে ছেড়ে দিচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের পর ৮৪ নম্বর নাভাল স্কুয়াড্রোন ওই দুটি মার্কিন ড্রোনকে নিরাপদ সমুদ্র সীমায় ছেড়ে দিয়েছে। শুক্রবার মার্কিন নৌবাহিনীর মুখপাত্র তিমোথি হকিন্স জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো এমন ঘটনা ঘটলো। এর আগে মঙ্গলবার ইরানের আধাসামরিক বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) উপসাগরে একটি মার্কিন সামুদ্রিক ড্রোন আটক করে এবং এটিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এবং হেলিকপ্টার কাছাকাছি আসার পর ওই মনুষ্যবিহীন ড্রোনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।