আমাদের দেশে স্ট্রবেরি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন অ লে এই ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অনেক বেকার যুবক এটি চাষ করে বেকারত্ব দূর করছেন। তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন এটি চাষের জন্য রোগ বালাই দূর করার বিষয় জেনে নিতে হবে।
স্ট্রবেরির রোগের মধ্যে গোড়া পচা রোগ অন্যতম। আক্রান্ত গাছের ক্রাউন, গোঁড়া অংশে টানলে, কাটলে কমলা লাল থেকে গাঢ় বাদামি লাল রং দেখা যায়। সেই সঙ্গে আক্রান্ত অংশ থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হয়। এক ধরনের জীবাণু স্ট্রবেরি গাছের ক্রাউনের এক প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করে যা গাছের ওপর থেকে বোঝা যায় না। তারপর ক্রমান্বয়ে গাছের ক্রাউন অংশ পচে গেলে গাছটি হঠাৎ করে ঢলে পড়ে এবং পাতা হলুদ বা বাদামি হয়ে যায়। এ রোগ হলে প্রতিকারের জন্য খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আক্রান্ত গাছ থেকে চারা সংগ্রহ করা যাবে না।
চারা সংগ্রহের সময় সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি সেপানীল ০.১ ভাগ্র করতে হবে। সেপানিল প্রয়োগের দুদিন পর ১ মণ ছাই, ১ কেজি পটাশ সার, ১ থেকে ২ কেজি রিডোমিল মিশিয়ে গাছের গোড়ায় ১ মুঠো করে দিতে হবে।
স্ট্রেবেরি সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণ করা বা বাজারজাত করা অনেক কঠিন। সংগ্রহ পরবতী সংরক্ষণের অভাবে এ ফল সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। পাউডাড়ি মিলডউ এর আক্রমণে ফলে এ ফল দ্রুত পচে যায়।
ফল সংগ্রহের সময় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখা। সংগ্রহের পর ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখা। বোটা সহ সংগ্রহ করা। দ্রুত শীতলীকরণের ব্যবস্থা করা। বাজারজাত করণের সময় যেন ফলে আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখা।