শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

বিবিসিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণ বিশ্বাস করে না – আমীর খসরু

শাজাহান সাজু:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নির্বাচন নিয়ে লন্ডনে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (বিবিসি) দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে আয়োজিত বিএনপির এক সমাবেশে এ কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, ‘বিবিসির ইন্টারভিউতে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, বাংলাদেশে আগামীতে সঠিক নির্বাচন হবে কিনা। উনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে সঠিক নির্বাচন হয়।’ এই সময়ে নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগান দিতে থাকে।
এপ্রসঙ্গে আমীর খসরু আরও বলেন, ‘যে কথাটা উনি বলেছেন, বাংলাদেশের একটা লোক এটা বিশ্বাস করবে? আপনারা বিশ্বাস করেন? না, সরকারি দলের লোকেরা বিশ্বাস করে ? উনার তো একটু লজ্জা থাকা উচিত যে, একটা বিদেশি সরকারপ্রধানকে যখন এই প্রশ্নটা করা হয়Ñ তখন কি উনার বুঝা উচিত না বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে এই প্রশ্নটা কেন করা হয়?’
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই প্রশ্নটা করবে ওরা? বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রশ্নটা করবে, নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রশ্নটা করবে, শেখ হাসিনাকে কেনো এই প্রশ্ন করছে। এটার আর কিছু বুঝা দরকার নাই।’
বাংলাদেশের ‘গুম’ নিয়ে বিসিসিতে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যকেও ‘মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেন আমীর খসুর।
ব্রিটেনের রানীর অন্তেষ্টেক্রিয়া যোগ দিতে লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাংলাদেশে শুধু আওয়ামী লীগের সময় নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।’ তিনি বলেছেন, ‘সেনাশাসকেরা বাংলাদেশে শাসন করেছেন। তাঁরা রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। তাঁরা কখনো মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাননি। ক্ষমতায় থাকতে সেনাবাহিনী, প্রশাসন—সবকিছুই ব্যবহার করেছেন তাঁরা।’
এ সময় গুমের অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘের কথা তোলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মানুষই অভিযোগ তুলতে পারে। কিন্তু তা কতটুকু সত্যি, তা আপনাকে বিচার করতে হবে। এর আগে কারও কোনো মন্তব্য করা উচিত না।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারি আমলাদের হাতে দলের নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আজকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের হাতে কোনো নেতৃত্ব নাই, যারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন তাদের হাতে কী কোনো নেতৃত্বে আছে? নাই। ওদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আজকে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।’
কয়েকটি উদারহরণ রেখে আমীর খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা কে? চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার আওয়ামী লীগের নেতা। নামটা মনে রাখবেন-মোহাম্মদ মোমিনুর রহমান। আওয়ামী লীগের নেতা কে? হাইকোর্টের জজ গাইবান্ধাতে ভোট চাইতে গেছেন তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা..। পল্লবীতে রফিক মোল্লা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা। ভোলায় আমাদের নেতা নুরে আলম-আব্দুর রহিমকে যে গুলি করে মেরেছে সে আওয়ামী লীগের নেতা, যে কিনা জনগনের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়্ণগঞ্জে শাওন প্রধানকে যে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে হত্যা করেছে সে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা। এই দলে এখন আর রাজনীতি নাই। এই দলটা রাজনৈতিকভাবে এমন দেউলিয়া হয়েছে যে, ওদের নেতৃত্ব চলে যাচ্ছে এরকম মানুষের হাতে আমি যাদের কথা বললাম।’
তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি আপনারা ওই পথে যাইয়েন না। ওই কাজ আপনাদের জন্য নয়। ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে না।’
তিনি সরকার না হওয়া পর্য্ন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়, আমাদের এই আন্দোলন দেশের ১৮ কোটি জনগনের আন্দোলন, আমাদের সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ যারা সম্পৃক্ত হয়েছে তাদের আন্দোলন। এজন্য আগামী দিনে এই আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।’
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বনানীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি আপনাদের সামনে আজকে এসেছি। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, যতই মাথা ফাটুক, যতই আমাদের হাত ভাঙ্গুক বিএনপির প্রত্যেকটা নেতা প্রত্যেকটা কর্মী এখনো মাঠে আছে, মাঠে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে হটিয়ে জনগণ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবো না। যুদ্ধের ময়দানে মাঠেই আপনাদের সাথে আমরা দেখা হবে এবং আগামী দিনে আপনাদের পাশে নিয়ে আমাদের কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় ও ও নারায়ণগঞ্জে দলীয় নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, শামীমুর রহমান শামীম, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, সাইফুল আলম নিরবসহ মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com