ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি ভেঙে ফেলার ঘটনায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা এবং নৈশপ্রহরীকে পেটানোর ঘটনায় বগুড়া সদর উপজেলার ইউএনও সমর পালের বিরুদ্ধেও পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর। গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ প্রশাসনের যে কয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকা-ের অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিটি ঘটনার পৃথক তদন্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকেরা এসব তদন্ত করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন দু’একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেতে পারেন। কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবার সামনে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভেঙে ফেলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ইউএনওকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। ট্রফি ভাঙার প্রতিবাদে ইউএনওর প্রত্যাহার চেয়ে আলীকদমে শনিবার বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এসব ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই। আলী কদমের ইউএনওর কর্মকা-কে অপরাধ মনে করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে আমার পক্ষে মন্তব্য করা কঠিন। প্রত্যেক ঘটনার পেছনে পরম্পরা থাকে। সেটি না দেখে না বুঝে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। মেহরুবা ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটাও তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দায় কী সরকার নেবে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যদি ব্যক্তি দায় থাকে, তাহলে তো সরকার দায় নেবে না। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে যদি কমপেনসেট করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা করবো।