শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

জলাশয় রক্ষায় কিছু দূর পরপর কালভার্ট তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

জলাশয় রক্ষায় বেশি বেশি বা কিছু দূর পরপর কালভার্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভা শেষে দুপুরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জলাশয় বা জলমগ্ন এলাকায় যেসব সড়কের কাজ করা হবে, সেখানে অনেক বেশি কালভার্ট রাখতে হবে। প্রাকৃতিক কিছু খাল আছে, সেসব খাল তো রাখবোই, উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন আরও বাড়তি বা কিছু দূর পরপর একটা করে কালভার্ট করবেন। যাতে পানি ও মাছ অবাধে চলতে পারে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় (হাওর অঞ্চলের) যেসব আদিম গাছগাছালি আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য যা আছে, প্রাণিজ জলজ বৃক্ষ রক্ষা করতে হবে। জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে।’

আমরা দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাÐের পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের ইতিহাস একদিন বের হবে। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক ষড়যন্ত্রের সাথে যারা জড়িত তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইতিহাস একদিন বের হবে, এসব খবরও বেরুবে, এগুলো পাওয়া যাবে, এটা এক সময় না একময় আসবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে গত সোমবার এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় অংশ নেন। ছাত্রলীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে খুনিরা ভেবেছিল তার নাম মুছে ফেলবে, আমাদের বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা হত্যাকারীদের বিচার করেছি। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করেছি যে এ দেশে ন্যায়বিচার আছে। এখনও কয়েকজন খুনি পলাতক রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে হত্যাকারীরা ভেবেছিল তারা তার নাম, লাখ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, হাজার হাজার নারীর আত্মত্যাগ মুছে ফেলবে এবং বাংলাদেশ কোনো দিকনির্দেশনা ও আদর্শ ছাড়া অসহায় হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শে নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল, তারা তা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাকে উপভোগের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছিলেন, উল্লেখ করেন তিনি। আমার কাছে ক্ষমতা হলো জনগণের প্রতি দায়িত্ব, বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমকে ধারণ করে রাজনীতি করতে আসতে হবে, দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, অন্যথায় নেতৃত্ব দেশ ও জাতিকে কিছুই দিতে পারবে না। জনগণকে কিছু দিতে গেলে প্রথমে নিজেদের নিয়ে ভাবার বিষয় ভুলে যেতে হবে, তাদেরকে দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে, কাজ করতে হবে, বলে শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার ত্যাগের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভার শুরুতে ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com