শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন

ইউক্রেনে দুই পরাশক্তির লড়াই

মুজতাহিদ ফারুকী :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সাত মাস আগে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে তখন অনেকের ধারণা ছিল যুদ্ধটা হবে সংক্ষিপ্ত। পাশ্চাত্যের বিশ্লেষকসহ বিশ্বের অনেক তাত্ত্বিক পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার ভাবমর্যাদার বিষয়টি বড় করে দেখেছিলেন। একই সাথে ইউক্রেনের সামরিক শক্তির খর্বতাও তাদের বিবেচনায় ছিল। সর্বোপরি কেউ ভাবতেও পারেননি, সাবেক এক কৌতুকাভিনেতা, ইউক্রেনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, ভলোদিমির জেলেনস্কি আদৌ কোনো সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন। পুতিন নিজেও সম্ভবত এ রকম ভেবে সামরিক হামলা শুরু করেছিলেন। ইউক্রেন ভয় পাবে এবং রাশিয়ার সব শর্ত মেনে আত্মসমর্পণ করবে এমন ছিল পুতিন বা তার পরামর্শকদের ধারণা। সে ধারণা ঠিক ছিল না। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভয়ে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাননি, করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরেও যাননি। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের মতো রুখে দাঁড়িয়েছেন। নিজের যেটুকু শক্তি আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। তার দৃঢ়তায় অতিশয় দুর্বল একটি সেনাবাহিনী হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রবল পরাক্রমশালী শত্রুর বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ধন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এবং দিনে দিনে যুদ্ধটা দাঁড়িয়ে গেছে দুই পরাশক্তির যুদ্ধে। ফলে দিন যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে।
পাশ্চাত্যের সর্বাত্মক অর্থনৈতিক অবরোধ এবং গোটা বিশ্ব থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াসের পাশাপাশি ইউক্রেনে সব ন্যাটো দেশের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে বলে মনে হয়। এ জন্য প্রথম কৃতিত্ব অবশ্য জেলেনস্কির। তিনি রাজধানী কিয়েভ রক্ষায় তার স্বল্প সামরিক শক্তির পুরোটা নিয়োগ করেন। ফলে রাশিয়াকে কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা স্থগিত করে অন্য বড় শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের দিকে মনোযোগী হতে হয়। কিয়েভ দখল করতে গেলে যে বিপুল রক্তক্ষয়ের আশঙ্কা ছিল সেটি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বিবেচনায় নিয়েছেন বলে মনে হয়। যা হোক, গত ছয় মাসের যুদ্ধের পর এখন দৃশ্যপটে ভিন্ন চিত্র ভেসে উঠতে শুরু করেছে। রুশ বাহিনী এমনকি হেরে যেতে পারে এমন জল্পনাও শুরু হয়েছে। গত দিন চার দিনে রুশ বাহিনীর দখল করা বেশ কিছু এলাকা ইউক্রেনের সেনারা দখল করে নিয়েছে এমন খবর এখন বিশ্ব মিডিয়াতেও জোয়ার তুলেছে। বলা হচ্ছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ সেক্টরে ইউক্রেনের সৈন্যরা রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে তিন হাজার কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে এবং অগ্রাভিযান অব্যাহত রেখেছে। রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল; সেখান থেকে তারা সরে যাচ্ছে। আর বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ পেছনে ফেলে গেছে।
এমনকি রুশ সেনাদের কোনো ইউনিট আত্মসমর্পণে আলোচনা করতে চায় এমন দাবিও করা হয়েছে ইউক্রেনস্কা প্রাভদা নামের ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন বলছে- তারা এ পর্যন্ত তিন হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা পুনর্দখল করেছে। তবে বিবিসি এটাও বলেছে যে, তারা কোনো স্বতন্ত্র সূত্র থেকে এসব দাবি যাচাই করতে পারেনি। যুদ্ধে বিপুল প্রচারণার একটা বড় ভূমিকা সব সময় থাকে। আর সত্য বা অসত্য যেকোনো প্রচারণায় পাশ্চাত্যের চেয়ে পারঙ্গম এ জগতে আর কেউ আছে কি? আমাদের জানা নেই। প্রচারণার জাদুতে তারা চোখের নিমেষে রাতকে দিন এবং দিনকে রাত বানিয়ে ফেলতে পারে। পাঠকের নিশ্চয়ই মনে আছে, ইরাক আক্রমণের অজুহাত দাঁড় করাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন কী করেছিল। তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সিনিয়র সাংবাদিক মিলারকে দিয়ে প্রতিবেদন ছাপে এই বলে যে, বাগদাদ অর্থাৎ সাদ্দামের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আছে। এই মিথ্যাচারের ওপর দাঁড়িয়ে ইঙ্গ-মর্কিন বাহিনী ২০০৩ সালে ইরাকে হামলে পড়ে। পরে প্রমাণ হয়, সংবাদটি ছিল ডাহা মিথ্যা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও সেই প্রচারণার জাদুমন্ত্র পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে রুশ বাহিনী স্বীকার করেছে, খারকিভ অঞ্চলের কিছু অবস্থান তারা ছেড়ে গেছে নতুন করে সমাবেশ গড়ে তুলতে। তারা যে অঞ্চলটি ছেড়ে গেছে সেটি রুশ বাহিনীর যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের মূল কেন্দ্রে পরিণত করেছিল এমন প্রচারণা আছে। সেটি সত্যি হলে এ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার যে ব্যাখ্যাই তারা দিক না কেন, এটিকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন হিসেবে দেখার অবকাশ থেকে যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুগত লাঠিয়াল, চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ অবশ্য খারকিভ থেকে রুশ সেনাদের পশ্চাৎপসারণে কষ্ট পেয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। এটিও রুশ বাহিনীর বির্যয়ের প্রমাণ হিসাবে নেয়া যেতে পারত যদি না খবরটি ইউক্রেনের গণমাধ্যমে প্রকাশ পেত। মনে রাখা আবশ্যক যে, হাজারও প্রচারণার মধ্যেও পাশ্চাত্যেরও কোনো উল্লেখযোগ্য মিডিয়া রুশ বাহিনীর পিছু হটার খবরটি নিজস্ব সূত্রে এমনকি কোনো নিরপেক্ষ সূত্রের বরাতেও নিশ্চিত করেনি। বরং ব্রিটেনের সমর বিভাগ এ খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দফতর শনিবার বলেছে, ওই এলাকায় রুশ বাহিনী কেবল ঢিলেঢালাভাবে দখল করে রেখেছিল এবং ইউক্রেনের সেনারা শুধু কয়েকটি শহর পুনরুদ্ধার অথবা ঘেরাও করেছে। আর এ পুনরুদ্ধার রাশিয়ার সরবরাহ লাইনে কোনো বড় রকমের আঘাতও না। তবে, আমাদের এমনটাই ধারণা যে, গত সাত মাসে আমেরিকা ও তার ন্যাটো জোটের মিত্ররা ইউক্রেনকে যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে তা মূষিককে বাঘে পরিণত করতে যথেষ্ট। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। আর স্বাধীনতা রক্ষায় যারা লড়াই করে তাদের মনোবল আক্রমণকারীর চেয়ে অনেক বেশি থাকে এটাই স্বাভাবিক। এখানে সেই সমীকরণও সক্রিয়। গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত ন্যাটো ও তার মিত্র দেশগুলো এমনকি রাশিয়ার ভয়ে ভীত সাবেক সোভিয়েতের অংশ থেকে স্বাধীন হওয়া কিছু দেশ ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি দিয়েছে এবং দেয়ার অঙ্গীকার করেছে তার আংশিক আর্থিক হিসাব পাওয়া যায় মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে। জার্মানির একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ৮৭৯ কোটি ডলার, পোল্যান্ড ১৮৩ কোটি, ব্রিটেন ১৩৬ কোটি, কানাডা ৯৫ কোটি, জার্মানি ৬৭ কোটি, চেক প্রজাতন্ত্র ৩৫ কোটি, ডেনমার্ক ২৭ কোটি, লাটভিয়া ২৫ কোটি, এস্তোনিয়া ২৫ কোটি এবং অস্ট্রেলিয়া ২৪ কোটি ডলারের সাহায্য দিয়েছে। এর পরেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আরো কিছু সামরিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৫০ কোটি ডলার। আরো ২২০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দেয়ার ঘোষণা এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আকস্মিক সফরে ইউক্রেন গিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ ঘোষণা দেন। এর অর্ধেক পাবে ইউক্রেন আর বাকিটা পাবে তার আশপাশের আরো ১৮টি দেশ। এরই মধ্যে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম যা ইউক্রেনে পৌঁছেছে তার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক হাওইটজার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ মঞ্চ ও ক্ষেপণাস্ত্র। হালকা ওজনের কাঁধে বহনযোগ্য ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যার মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শত্রুপক্ষের ট্যাংক ধ্বংস করা সম্ভব। আর এগুলো দেয়া হয়েছে হাজারে হাজারে। পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনকে দিয়েছে ২৩০টি টি-৭২ ট্যাংক। এটি আড়াই মাইল দূরের টার্গেটে হামলা করতে সক্ষম। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী কয়েক দশক ধরে এসব ট্যাংক ব্যবহার করে অভ্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে অত্যাধুনিক একটি বিমান-প্রতিরোধী ব্যবস্থা পাঠিয়েছে, যার নাম নাসামস। ইউক্রেন এখন দাবি করছে, রুশ যুদ্ধবিমানের হাত থেকে তারা নিজেদের আকাশসীমা রক্ষায় সফল হয়েছে। আরবিসি-ইউক্রেন নামের মিডিয়া দেশের এয়ার ফোর্স কমান্ডের বরাতে বলেছে, গত চার মাসে রুশ বিমান আর ইউক্রেনের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি। আর গত তিন দিনে জেলেনস্কির সেনারা কী বিপুল পরিমাণ বিমান, ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে তারও বিবরণ দিয়েছে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম। দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ার ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের সমমূল্যের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে তারা। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে তার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ধরে রাখতে হলে জরুরি-ভিত্তিতে প্রয়োজন হবে অত্যাধুনিক কামান এবং গোলাবারুদ। সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে। এছাড়াও দেয়া হয়েছে অত্যাধুনিক ড্রোন যা দিয়ে ইউক্রেন এখন রুশ সৈন্যের অবস্থান ইত্যাদি চিহ্নিত করতে পারছে নিখুঁতভাবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ইউক্রেনকে প্রতি মাসে ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে। রাশিয়ার ব্যয় নিশ্চয়ই এর চেয়ে কম নয়। কিন্তু রাশিয়ার অর্থনীতি নাজুক হয়ে পড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। তাদের অস্ত্রশস্ত্র বেশ পুরনো। নতুন অস্ত্র তৈরি বা বাইরে থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। শোনা যাচ্ছে, রাশিয়া এখন ইসরাইলের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে আলোচনা করছে। ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ সুনাম আছে।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক সূত্র যুদ্ধে যেসব খবর প্রকাশ পাচ্ছে তাতে কিঞ্চিত বিরক্ত জেলেনস্কি নিজে। তিনি বারবার করে তার বাহিনীর জওয়ান ও অফিসারদের অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ না করার নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্তু নতুনভাবে উদ্দীপিত সেনা সদস্যদের সম্ভবত সেই নির্দেশের কথা মনে থাকছে না অতি উৎসাহে। ওদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে আরেক ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তারা ইউক্রেন যুদ্ধকে এরই মধ্যে পুতিনের পরাজয়ের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরতে শুরু করেছেন। বলা হচ্ছে, এ যুদ্ধের কারণে পুতিনের নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ বলে পরিচিত, তার মন্ত্রণাদাতা এবং রুশ সাম্রাজ্যবাদের পুনর্জাগরণের স্বপ্নদ্রষ্টা আলেকসান্দার দুগিনও এখন নাকি পুতিনের বিরুদ্ধে চলে গেছেন। রাজনৈতিক নেতা ও কৌশলবিদ হিসেবে পুতিনের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি আর ছয় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না এমন কথাও নাকি বলেছেন। সন্দেহ নেই, পুতিনের কাছ থেকে যত সহজে ইউক্রেন বিজয়ের ধারণা বিশ্ব করেছিল সেটা পুতিন অর্জন করতে পারেননি। তবে এটাও স্পষ্ট যে, রাশিয়ার অর্থনৈতিক সক্ষমতা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং পুতিন পাততাড়ি গুটিয়ে ইউক্রেন ছেড়ে সহসা ঘরে ফিরে যাবেন এমন সম্ভাবনা কম। যুদ্ধ যদি আরো ছয় মাসও চলে তাহলে পাশ্চাত্যও বড় বিপদে পড়তে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপের গণতান্ত্রিক দেশগুলো। যুদ্ধের অজুহাতে ফ্রান্স, ব্রিটেন বা জার্মানির নেতারা তাদের জনগণকে বলতে পারবেন না, পুতিন গ্যাস দিচ্ছে না, গাড়ি ব্যবহার কিছু দিন বন্ধ রাখুন। বলতে পারবেন না, বাংলাদেশের মানুষের মতো দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা অন্ধকারে থাকুন, এসি বন্ধ রাখুন। টাকা পয়সা খরচ করবেন না, সঞ্চয় করে রাখুন। সুতরাং যুদ্ধের মোড় কোন্ দিকে যায় তা দেখতে আমাদের আরো অন্তত দু-এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
ই-মেইল : mujta42@gmail.com




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com