পঞ্চগড়ের জেলার বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি সরকারের ব্যর্থতা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, কে মরলো, কে বাঁচলো তা যেন এই সরকারের দেখার বিষয় না। তিনি বলেন, ‘তাদের (আওয়ামী লীগের) জনগণের ভোটও লাগে না। ১৫ বছর হলো জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছে। আর মিথ্যা কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করে আসছে।’ গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নৌকাডুবির ঘটনাস্থল মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমরা একটি মিটিং করতে গেলে নানান রকম আইন-কানুন দেখানো হয়; আর এই ঘাট দিয়ে এত লোক পারাপার করে অথচ সরকারের কোনো তদারকি নেই। এতবড় দুর্ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার দায়ী। এই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা উচিত ছিলো সরকারের, কিন্তু করেনি। মূলত লাশ এই সরকারের কোনো বিষয় না। যে সরকারের মানুষের ভোট প্রয়োজন হয় না তারা আর কী শোক পালন করবে। এতবড় দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলাও হয়নি। এই সরকার তো কোনো মামলাও নেয় না। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে গিয়ে আমাদের যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে তাদেরও মামলা নেয়নি। কোনোদিন যদি পরিবর্তন হয় এসব মামলার বিচার হবে।’
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। প্রতিবছরই এই ঘাটে পূজাকে কেন্দ্র ভিড় বাড়ে। দেবী দর্শনের জন্য সবারই উদ্বেগ থাকে। সেখানে যদি সরকারের কন্ট্রোল থাকতো তাহলে নৌকায় ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠতে পারতো না। আর এতগুলো প্রাণহানিও ঘটতো না।’ এর আগে, মাড়েয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নৌকাডুবিতে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি হয়ে প্রত্যেক মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।