সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল মেহমানশাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গাড়ুদহ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার সকালে মেহমানশাহী পশ্চিমপাড়া বটতলা কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় সেতু নির্মাণের দাবিতে নদী পাড়ের শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন। ধুবিল ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি সানেয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আ‘লীগনেত্রী রুবিয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিনের পত্নী রাবেয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ বর্মণ, ধুবিল মেহমানশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, মসজিদের ইমাম মাওঃ নুরুল আলম, ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তাদের বহুল প্রত্যাশিত গাড়ুদহ নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে দুই পাড়ের ২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দুর হবে। তারা বলেন, এনদীর পুর্বপাড়ে রয়েছে ভোটকেন্দ্র ও মেহমানশাহী হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, তহশীল অফিস, গোপালজিউর মন্দির, শ^শান ঘাট ও খেলার মাঠ। পশ্চিম পাড়ে রয়েছে মেহমানশাহী পশ্চিম পাড়া বটতলা কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব ও ঈদগাহ মাঠ। নদীর উভয় পাড়ে রয়েছে সরকার নির্মিত দুটি মুক্তিযোদ্ধা ভবন। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে একমাত্র বাঁশের সাঁকোই ভরসা। অথচ দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় মরদেহ নিয়ে দাফন বা দাহ করার জন্য কবরস্থান ও শ^াশানঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাওয়া যায় না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এলাকাবাসীর প্রাণের এদাবি পুরণ হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। গ্রামবাসীর চাঁদা ও সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নির্মিত বাঁশের সেতু দিয়ে এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে চলছে। ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল বলেন, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানিয়েছেন। ওখানে একটি সেতু নির্মাণ করবেন বলে এমপি মহোদয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রায়গঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, এলাকাবাসীর এদাবি অনেক দিনের। এর আগে ওই স্থান এলজিইডির পিডি স্যার সরেজমিন প্রদর্শন করেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেই কাজের ধারাবাহিকতা শুরু হবে।