শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

প্রাথমিক শিক্ষায় ধারাবাহিক মূল্যায়নের গুরুত্ব

মোঃ ফরহাদ হোসেন খন্দকার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

জাতীয় জীবনে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ করে তোলার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। তাই প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ পূরণে শিখন ও মূল্যায়ন একটি অপরিহার্য অঙ্গ। কেননা, শিক্ষার্থী তার শিখনে লক্ষ পূরণে কতটা অগ্রসর হতে পেরেছে বা লক্ষ অর্জনের পথে কতটুকু সাফল্য অর্জন করেছে তা জানার জন্য দরকার মূল্যায়ন। তাই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী মূল্যায়নের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং তৃতীয় থেকে সকল শ্রেণিতে ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক পরীক্ষা এবং পঞ্চম শ্রেণির শেষে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করার পরামর্শ প্রদান করে।
এ পরামর্শ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসিই)। পরীক্ষা শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নের একটি উপায় মাত্র। পরীক্ষার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ে, শিখন আগ্রহও বাড়ে। আমাদের দেশে প্রতিযোগিতা বাড়লেও শিখন আগ্রহের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষার্থীদের শ্রেণির ন্যূনতম নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করা নিয়েও আছে নানামুখী বিতর্ক।
এখানে অধিকাংশ অভিভাবক জানেন না- পরীক্ষা কেন নেয়া হয়? তাদের ধারণা পরীক্ষা মানে জিপিএ ৫ পাওয়া, পরীক্ষা মানে বেশি বেশি পড়া, পরীক্ষা মানে চোখ- কান বুজে উত্তর মুখস্থ করা। আর শিক্ষার্থীরা উত্তর তৈরির জন্য ছোটাছুটি করেন শিক্ষকের কাছে অথবা কোন গাইড বইয়ের দোকানে। এটাকে পুঁজি করে গড়ে ওঠে বড় বড় কোচিং প্রতিষ্ঠান। এদের কাছে আর্থিক হিসাব-নিকাশ ছাড়া শিক্ষার্থীর শিখন আগ্রহের প্রতি কোন গুরুত্ব নেই। ফলে পাঠ্য বইয়ের বাইরে থেকে একই জাতীয় অন্য প্রশ্ন দিলে শিক্ষার্থীরা লিখতে পারে না। এর মানে হলো শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিখন যোগ্যতা অর্জন করছে না।
আবার এ ধরণের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষার একসাথে ফল প্রকাশ করার নেতিবাচক দিক হলো: শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলনার সুযোগ তৈরি করা অথবা একরকম তুলনার দিকে ঠেলে দেয়া। যে শিক্ষার্থী ১০০ তে ৮০ পেল সে অখুশি , তার বন্ধু ৮৩ পেয়েছে এই কারণে আবার যে ৬০ বা ৪৫ পেল, সে অন্যদের তুলনায় নিজেকে হীন মনে করে। এই তুলনা শুধু শিক্ষার্থীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মাঝেও। ভালফল করা অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবককে খোঁচা মেরে কথা বলেন। শিক্ষার্থীরা যখন দেখে তারই কারণে তার বাবা মাকে বিভিন্ন নেতিবাচক কথা শুনতে হচ্ছে, তখন তার মনবল ভেঙ্গে যায়। অনেক ক্ষেত্রে
আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আবার অনেক সময় কম নম্বর পাওয়া শিক্ষাথীর উপর নেমে আসে মানবিক বা শারীরিক নির্যাতন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যেন শিক্ষার্থীটি “বাজির ঘোড়া” অভিভাবকদের প্রত্যাশার চাপ তাদের রেসের মাঠে ( পরীক্ষায়) তাড়িয়ে বেড়ায়- কে কার চেয়ে সেরা তা প্রমাণের জন্য।
এ ধরনের মূল্যায়ণ ব্যবস্থা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক সংঘাতের জন্ম দেয়- যা প্রাথমিক শিক্ষার বুনিয়াদকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “বাড়িতে বাপ- মা- ভাই বন্ধুরা যাহা আলোচনা করেন বিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে তাহার যোগ নাই, বরঞ্চ অনেক সময় বিরোধ আছে। এমন অবস্থায় বিদ্যালয় একটাইঞ্জিনমাত্র হইয়া থাকে তাহা বস্ত্রযোগায় প্রাণ যোগায় না”।বিদ্যালয় যেখানে এক সাথে মিলেমিশে থাকার সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে রসদ যোগায়, সেখানে সুস্থধারার সংস্কৃতির পরিবর্তে পরীক্ষার নামে অপসংস্কৃতি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, শিশুবিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী সহ অসংখ্য বিজ্ঞজন এ ধরণের পরীক্ষার ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও পরীক্ষাভীতি দূর করা, বইয়ের ভার কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
অবশেষে সদাশয় সরকার বাহাদুর বিষয়টির গুরুত্ব উপলদ্ধি করে জাতীয় শিক্ষা আইন ২০২১ ও জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখার খসড়া অনুমোদন করেন। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত স্তরভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল:
তাই, বর্তমান সরকার বিষয়টির গুরুত্ব উপলদ্ধি করে জাতীয় শিক্ষা আইন ২০২১ ও জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখার খসড়া অনুমোদন করেন। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত স্তরভিত্তিক মূল্যায়ন কৌশল: প্রাক প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতেÑশতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন-৭০ শতাংশ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ।
এনসিটিবি কর্র্তক প্রস্তুতকৃত পরিবর্তিত শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাক প্রাথমিক হতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোন সামষ্টিক বা বার্ষিক বা আনুষ্ঠানিক মূল্যায়ন থাকছে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়ার সবচেযে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো: বর্তমানে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পরীক্ষায় প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার লক্ষ নিয়ে যেভাবে গলদঘর্ম হয়ে থাকেন সেই অপসংস্কৃতির বিলোপ ঘটবে। কারণ ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফলাফল ভিত্তিক কোন রোল থাকবে না। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে একটি পরিচিতি নম্বর। তাই শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন তথা শ্রেণিকক্ষ বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে মূল্যায়ন ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৩ থেকে
পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমে সামষ্টিক মূল্যায়নের গুরুত্ব কমিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সামষ্টিক মূল্যায়নে শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষার্থীর পাঠ্য পুস্তকের জ্ঞান যাচাই করার সুযোগ থাকে। অপরপক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন যেহেতু শ্রেণিকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয় তাই একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক বিকাশের অগ্রগতি যাচাই অধিকতর সহজ হয়। ধারাবাহিক মূল্যায়নে একজন শিক্ষার্থীর পারগতা ও অপারগতার ক্ষেত্র সমূহ চিহ্নিত করা সহজ হয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ব্লুমস টেক্সোনমি পদ্ধতির মাধ্যমে মৌখিক/লিখিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর উন্নয়নের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে যেমন নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যায় অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বিভিন্ন প্রজেক্ট, বাড়ির কাজ, কুইজ টেস্ট, দলে কাজ, সহশিক্ষাক্রমিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ ইত্যাদি ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান, আগ্রহ, আচরণ, অংশগ্রহন, দৃষ্টিভঙ্গি, নৈতিকতা, দূরদর্শিতা ও দক্ষতা সহজেই চিহ্নিত করা যায়।পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাদান পদ্ধতির উন্নয়নের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়। তাই ধারাবাহিক মূল্যায়ন একটি উত্তম পন্থা।
তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো উপেক্ষা করা যায় না তা নি¤েœ বর্ণিত হলো-
শিক্ষকের নৈতিকতা, সততা ও নিরপেক্ষতা: ধারাহিক মূল্যায়নের পুরোধা বা নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষক নিজেই। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষার্থীর উপর তাঁর পছন্দ-অপছন্দের প্রভাব পড়বে। শিক্ষকের নিরপেক্ষতা হবে প্রশ্নবিদ্ধ। সেক্ষেত্রে শিক্ষা অর্জনের প্রতিযোগিতা রূপ নিতে পারে শিক্ষকের সন্তুষ্টি লাভের প্রতিযোগিতা। একটি শিশুকে সারাবছর ধরে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য যে নিষ্ঠা ও পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা দরকার প্রত্যেক শিক্ষকের ক্ষেত্রে তা নিশ্চিত করতে না পারলে নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিদ্যালয়সমূহের অসম প্রতিযোগিতা: দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন বিদ্যমান। ধারাবাহিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রসমূহ নির্ধারণ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করা সহজ হলেও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনগুলো পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে মনিটরিং করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদেরকে তাদের প্রতিষ্ঠানে আকৃষ্ট করার জন্য লেটার গ্রেড বা নম্বর
প্রদানেরক্ষেত্রে প্রচলিত মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভালো ফলাফলের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
পর্যাপ্ত কর্মঘন্টা:বর্তমানে শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত কর্মঘন্টা শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরিধি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য যে অতিরিক্ত শ্রম, মেধা ও সময়ের প্রয়োজন সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে প্রণোদনাসহ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ একান্ত প্রয়োজন।
অনুকুল পরিবেশ : ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরিচালনা করার জন্য অনুকুল পরিবেশ তথা পর্যাপ্ত অবকাঠামোসহ শিশুবান্ধব শিখন পরিবেশএকান্ত প্রয়োজন যা অনেক বিদ্যালয়ে বিদ্যমান নয়।
অধিক শিক্ষার্থী: অধিক শিক্ষার্থী বিশিষ্ট বিদ্যালয় বা শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
শিক্ষক স্বল্পতা : শিক্ষক স্বল্পতা ধারাবাহিক মূল্যায়নের অন্তরায়।
শিক্ষক প্রশিক্ষণ:অধিকাংশ শিক্ষকই ধারাবাহিক মূল্যায়ন কৌশল সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখে না। কিভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন শেষে চেকলিষ্ট, রেটিংস্কেল ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করে শিখন নিশ্চিত করে রেকর্ড সংরক্ষণ করবে- সে সম্পর্কে যথেষ্ট শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সার্বিক বিবেচনায় ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থার সকল সীমাবদ্ধতা দূর করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীর প্রকৃত মূল্যায়ন করা একান্ত প্রয়োজন। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিশুদের উপর পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে না দিয়ে তাদের আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষাদান তথা ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হলেই শিশু তাদের মেধা বিকাশে অধিকতর ফল পাবে।
তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার: (১) জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০, (২) শিশুর জয়যাত্রা-আবুল মোমেন,
(৪) শিক্ষণ প্রসঙ্গে পদ্ধতি ও পরিবেশ- শ্রী গৌরদাস হালদার, (৫) শিক্ষা মূল্যায়ন-সিএড প্রোগ্রাম,বাউবি।
লেখক:-মোঃ ফরহাদ হোসেন খন্দকার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উলিপুর-কুড়িগ্রাম।
মোবাইল নং ০১৭৫৪০৩৪১১২




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com