ইতিহাসে পড়েছি ৭১ সালে খানেরা নারী নির্যাতন করে মেরে ফেলতো কিন্তু চোখে দেখিনি। এবার যে নির্যাতন দেখলাম সে রাতে চোখে জল আসছিলো। একজন নারী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হয়। যা দেখে শিহরিয়া ওঠে সারা শরীর। আমি নারী তবুও বলতে হয়। ভিডিও ক্যামেরার সামনে চার নারীর ওপর এমনটি বর্বরোচিত হামলার ঘটনা নিয়ে বলছিলেন চিতলমারীর খড়মখালী গ্রামের কিশোর বিশ্বাসের স্ত্রী আখি বাড়ৈ।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে হরিসভা মন্দিরের পাশে বিরোধপূর্ন একটি বাড়ি নিয়ে মন্দির কমিটির লোকজন এবং সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা হরিদাস মজুমদারের লোকজনের মধ্যে পুর্বশত্রুতার জের ধরে ২৭ আগস্ট গভীর রাতে হরিদাশের স্ত্রী কল্পনা মজুমদার সহ চারজন নারীর উপর বর্বরোচিত হামলার লোম হর্সক ঘটনার বর্ননাদেন প্রতিবেশী আখি বাড়ৈ, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের স্ত্রী শিখা বিশ্বাস, ডাঃ রমেশ রায়ের স্ত্রী মিনাক্ষীরায় সহ অনেকে। তারা জানান ৪০/৫০ জনের দুর্র্বৃত্ত দল গভীর রাতে দুর্বৃত্ত ঘুমান্ত কল্পনা মজুমদার সহ চঞ্চলা মৃধা, আশালতা কর্মকার ও হেমলতা কির্ত্তনীয়ার চোখে-মুখ ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে মরিজের গুড়ো, বালু নিক্ষেপ ও গালের মধ্যে জলন্ত মশার কয়েল ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পরে হাতুড়ী, লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্ম জখম করে। এসময় তাদের উদ্ধার করে তারা হাসপাতালে নিয়ে যান। এব্যপারে কল্পনা মজুমদারের স¦ামী হরিদাশ মজুমদার ন্যায় বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসক, বাগেরহাট কে বরাবর করে, তার অনুলিপি পাঠিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় সাংসদ, বাগেরহাট-১, মাননীয় আইজিপি, মাননীয় ডিআইজি, খুলনা বিভাগ ও র্যাব-৬ খুলনাকে হরিদাস মজুমদার জানান ৪১নং খড়মখালী মৌজায় বিআরএস খতিয়ান নং-৪৮১ ও ৫৬২ এর দাগ নং-৮৬/৪২৭ ও ৮৬/৪৩১ এর সম্পত্তি ০.২০ একর নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত করে তিনি সর্ব সাধারনের জ্ঞাতসারে ভোগদখল ও পূজা অর্চনা করে আসছেন। এতদ্বা সত্বেও গত ২৭ আগস্ট (শুক্রবার) গভিররাতে মন্দির কমিটির ৪০/৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার ঘুমান্ত স্ত্রী সহ চার নারীর উপর চড়াও হয়। প্রথমে কল্পনা মজুমদার(৪৫), চঞ্চলা মৃধা(৩৮), আশালতা কর্মকার(৬০) ও হেমলতা কির্ত্তনীয়ার চোখে-মুখেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মরিজের গুড়ো নিক্ষেপ করে। পরে হাতুড়ী, লোহার রড, লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্ম জখম করে, ঘরটি ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। এসময় দুর্বৃত্তরা একটি আইফোন, তিনটি এ্যনড্রোয়েডফোন, গলে থাকা ১ ভরিওজনের স্বর্নের চেইন,কানের বালা, লক্ষাধিক নগদ টাকা সহ এটিএম কার্ড, ব্যংকের চেক বই লুট করে নেয়। এব্যপারে তাদের ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিষয় মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান উক্ত জায়গায় তাদের কোর্টের রায় আছে। তারা মন্দিরের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে আসছেন। আপর দিকে হরিদশের স্ত্রী কল্পনা জানান অর্পন নামা দলিল হিসেবে প্রতীয়মান এটা ব্রম্মনদের পৈত্রিক সম্পত্তি এবং মন্দিরটা ছিলো পারিবারিক।
তাদের নিকট থেকে হরিদাশ জায়গাটি কিনে সেখানে পূজো অর্চনা করে আসছিলেন। হরিদশের ৪/১জায়গা দান করা আছে। বর্তমান সার্ব্বজনীন মন্দিরের সাইন বোর্ড দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া দঃ নং-৩৪১৬/১৯ তারিখে বিজ্ঞ চিতলমারী সহকারী জজ আদালত, বাগেরহাট এর আদেশ নং-০৯, তারিখ-১৫.০১.১৮ইং তারিখে ডিগ্রিদার হাজিরা দাখিল না করায়, মামলাটিও খারিজ হয়ে যায়। রেকর্ডীয় মালিক পক্ষের হরিদাশ মজুমদারের নামে বলবত থাকে।