উত্তাল বর্ষার পর আগমন ঘটে শুভ্র ঋতু শরতের। কাশফুল, পরিষ্কার নীল আকাশ আর সবুজ মাঠ- শব্দগুলো শুনলেই মনে আসে ঋতুর রানি শরতের নাম। শরৎকালে নদীঘেষা জমিনে যত দূর চোখ যায় ততদূর সাদা সাদা কাশফুল চোখে পড়ে। এ যেন মহান আল্লাহর অপরূপ নিদর্শন। গাছে গাছে শিউলির মন ভোলানো সুবাসে অনুভূত হয় শরতের ছোঁয়া। মেঘহীন আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুলের মতো সাদা মেঘের ভেলা কেড়ে নেয় মন। তাই তো উৎপল সেন লিখেছিলেন, ‘আজি শরতের আকাশে মেঘে মেঘে স্বপ্ন ভাসে।’ ভাদ্রের শুরু থেকেই শরতের আবির্ভাব বেশ লক্ষণীয়। এর স্নিগ্ধতা এক কথায় অসাধারণ! জলহারা শুভ্র মেঘের দল যখন নীল, নির্জন, নির্মল আকাশে পদসঞ্চার করে তখনই বুঝতে পারি শরৎ এসেছে। শরতের আগমন সত্যিই মধুর! গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর বর্ষার অঝোর ধারায় শ্রাবণ ঢলের পর আসে শরতের আলো ছায়ার খেলা; এই মেঘ, এই বৃষ্টি, তো কিছুক্ষণ পরই রোদ। শরতের অন্যতম বড় আকর্ষণ কাশফুল! নদী তীরে, বনের প্রান্তে কাশফুলের রাশি অপরূপ শোভা ছড়ায়। কাশফুলের এ অপরূপ সৌন্দর্য পুলকিত করেনি এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার! তাই তো শিশু-কিশোরেরা আবেগময় হয়ে ছুটে বেড়ায় সেই কাশবনে। হাতে তুলে নেয় গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা কাশফুল। কবি বলেন, তোমার হাতে বন্দি আমার ভালবাসার কাশ, তাইতো আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস’ এই শরতের কাশফুল দাড়িয়ে আছে আকাশপানের দিকে, হেলেধুলে কাটিয়ে দিচ্ছে কাশের সারাটি দেহে। কুলন গুলি কাশ থেকে উড়িয়ে দিচ্ছে নীল আকাশেল পানে, বাতাসে এদিক ওদিক কুলনগুলি হাসিতে হাসিতে উড়ে যাচ্ছে মনমুগ্ধ হয়ে। কাশ কুলন গুলি দেশ দেশান্তে গিয়ে উগ্র জমিতে পতিত হয়ে আবার ওখানেই কাশ বাগানে রূপান্তরিত হচ্ছে।