বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গরমের তীব্রতা না কমলে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। তাপমাত্রা কমার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। লোডশেডিং নিয়ে আপাতত কিছুই করার নেই। গতকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংকটে পড়েছে। এ খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কারণে সক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, স্পট মার্কেটে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির দাম বাড়ায় আমদানি করা যাচ্ছে না। এ সব কারণেই মূলত মধ্যরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলন, সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সমন্বয়হীনতার জন্য অনেক অর্জনই ব্যর্থতায় পরিণত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে হুয়াওয়ে ও পাওয়ার সেলের যৌথ উদ্যোগে ‘টুগেদার ফর স্মার্ট অ্যান্ড গ্রিন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গ্রিডের অটোমেশন করা সময়ের দাবি। এটা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সমন্বয় করবে। তথ্য প্রযুক্তি ও স্মার্ট ডিভাইসের সংযোজন বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে প্রচলিত গ্রিড থেকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তরিত করতে প্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনশক্তিকেও দক্ষ করে গড়ে তোলা আবশ্যক। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চার্জিং গাইডলাইন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রস্তুত করে ফেলেছে। কর্মশালায় স্মার্ট গ্রিড, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। স্মার্ট গ্রিড, সাইবার হামলা প্রতিরোধ, ডিজিটালাইজেশন, অটোমেশনের পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর ক্লিন এনার্জি এবং ইলেকট্রিক যানবাহন নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান ঝানফেং বক্তব্য রাখেন।