নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভায় বাসস্ট্যান্ড আছে কিন্তু যাত্রী ছাউনি নেই। আর এই যাত্রী ছাউনি না থাকায় চরম দুর্ভোগ পরেছে সাধরন যাত্রীরা। যানা যায় জলঢাকা পৌরসভা থেকে নীলফামারী জেলা সদর ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, রংপুর বিভাগ এর দুরত্ব ৪৫ কি:মি:। জলঢাকা থেকে রাজধানী ঢাকার দুরত্ব প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার।পৌরসভায় মোট ১১ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।ইউনিয়ন গুলো হলো ডাউয়াবাড়ী, গোলমুন্ডা, বালাগ্রাম, গোলনা, ধর্মপাল, শিমুলবাড়ী, মীরগঞ্জ, কাঠালী, খুটামারা, শৌলমারী ও কৈমারী। এছাড়া এ উপজেলার শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হতে নীমফামারী, রংপুর, ডোমার, ডিমলা, ডালিয়া, পাটগ্রাম এবং দুরপাল্লার যাত্রীরা শুধুমাত্র বাস যোগে চলাচল করে।বাস টার্মিনাল হতে বাস ছাড়ার সয়ম সকাল ৬ টা হতে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত। দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সময় সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।আভ্যন্তরীণ এই রুটের দূরপাল্লার শত শত যাত্রীরা যাতায়াত করলেও বাস ষ্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের প্রতিনিয়ত চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে, প্রচন্ড রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়ে যাত্রী সাধারণকে দোকানপাট, মার্কেট এর সামনে আশ্রয় নিয়ে যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। জলঢাকা বাসস্ট্যান্ড একটি ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রংপুর টু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার পরিবহন ও আভ্যন্তরীণ যানবাহনে এ স্ট্যান্ড থেকে প্রতিনিয়ত শত শত যাত্রী চলাচল করায় স্ট্যান্ডটি সব সময় জনসমাগমে এ ব্যস্ত থাকে।বাস স্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনী না থাকায় এসব যাত্রী সাধারনকে রাস্তায় কিংবা বিভিন্ন দোকানের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এতে পরুষদের বেলায় তেমন একটা সমস্যা না হলেও মহিলা যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয় চরমে। বিশেষত নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই। রাতের বেলায় এসব যাত্রীদের মারাত্মক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এছাড়া সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌরসভার দুর পাল্লার নাবিল, হানিফ, রিশা, পারফেক্ট পরিবহন কাউন্টারে নিজস্ব উদ্যোগে যাত্রীদের বসার স্থান থাকলেও বেশির ভাগ কাউন্টারের নেই কোন যাত্রীদের বসার স্থান।এতে চরম ভোগান্তিতে পরে সাধারণ যাত্রীরা। এবিষয়ে কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা হলে তারা বলেন,জলঢাকা পৌরসভা একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। তাই পৌর মেয়র ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের জোর দাবি অতিসত্বর আমাদের জনগণের কথা বিবেচনা করে হলেও যাত্রীদের জন্য পৌরসভায় একটি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবিষয়ে কথা হয় উপজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ এর সাথে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের হেরিং রোডের কাজগুলো চলমান রয়েছে। এমপি মহোদয়ের সাথে এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পর্যায়ক্রমে এই যাত্রী ছাউনির কাজ হবে। পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর সাথে দৈনিক খবর পত্রের যাত্রী ছাউনি বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা একটা অর্থ প্রাপ্তির আশায় আছি অর্থপ্রাপ্তিটা হাতে আসলেই ইনশাআল্লাহ এই অর্থবছরের এই যাত্রী ছাউনির কাজটি করতে পারবো বলে আশা করছি। সর্বোপরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান এর সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি জানান, এই যাত্রী ছাউনি জলঢাকা পৌরসভায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধীরে ধীরে এটি যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তাহলে সাধারণ যাত্রীরা এতে অনেক উপকৃত হবে।