আগের দিনই জয়ের বেশ কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিশ। খুলনায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টায়ারের ম্যাচে জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছিল নাইম শেখের দল।
আজ বৃহস্পতিবার শেষ দিনে জিততে ঢাকা মেট্রোপলিশের দরকার ছিল মাত্র ৪১ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। উইকেটরক্ষক জাহিদুজ্জামান (২৪) ও বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল (০ রানে) ছিলেন ক্রিজে।
তারা অবশ্য ম্যাচ শেষ করতে পারেননি। জাহিদুজ্জামান ৩২ আর রাকিবুল ৫ রানে আউট হয়ে যান। এই দুই উইকেট পড়ার কারণে নাটকীয় অবস্থাও তৈরি হয়। ম্যাচ ঝুলে যায় দুইদিকেই।
শেষ পর্যন্ত দুই বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি আর কাজী অনিক শক্ত হাতে হাল ধরে দল জিতিয়েই সাজঘরে ফিরেছেন। এ দুই পেস বোলারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২ উইকেটের কৃতিত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিশ।
১৩৯ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর আবু হায়দার রনি আর কাজী অনিক নবম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান তুলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। দু’জনই দায়িত্ব ও ধৈর্য্য নিয়ে খেলে ম্যাচ শেষ করে সাজঘরে ফেরেন। রনি ৬৮ মিনিটে ৩৪ বলে অপরাজিত ১৮ আর অনিক ৫৮ মিনিটে ২৮ বলে ১১ রানে নটআউট ছিলেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানে অলআউট হওয়া খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় স্কোর গড়তে পারেনি। ১০৮ রানেই ইনিংসের অর্ধেকটার পতন ঘটেছিল। সেখান থেকে অভিজ্ঞ জিয়া আর টিপু সুলতান লড়াই করে দলকে ১৯১ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। আগের দিনের দুই অপরাজিত উইলোবাজ জিয়া করেন ৫৩ রান। আর টিপু সুলতানের সংগ্রহ ছিল ২৮।
ওদিকে ১৫৬ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করা ঢাকা মেট্রোপলিশের জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১৬৭ রানের। কিন্তু অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব ছাড়া আর কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারায় ১২৬ রান করতেই খোয়া যায় ৬ উইকেট।
খুলনা প্রথম ইনিংসে ১৩১/১০, ৬০.১ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯১/১০, ৭০.৪ ওভার (অমিত মজুমদার ২৩, প্রান্তিক মজুমদার নওরোজ ৫২, নাহিদুল ১৯, টিপু সুলতান ২৮, জিয়া ৫৩; শরিফুল্লাহ ৫/২৫, মানিক খান ২/৪৬, রাকিবুল ৩/১৬)।
ঢাকা মেট্রো: প্রথম ইনিংসে ১৫৬/১০, ৬০.১ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৮/৮, ৭০ ওভার (মাহফিজুল ৩২, নাইম শেখ ১০, শামসুর রহমান শুভ ১৪, মার্শাল আইয়ুব ৪০, জাহিদুজ্জামান ৩২, আবু হায়দার নটআউট ১৮, কাজী অনিক নটআউট ১১; আল আমিন ২/৪৪, টিপু সুলতান ২/১৭, মেহেদি ১/৩৩, সালমান ১/২০)।
ফল: ঢাকা মেট্রো ২ উইকেটে জয়ী।