মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ৭ অক্টোবার থেকে নদীতে মা-ইলিশ শিকারে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় তেতুঁলিয়া সহ সব নদ নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবার পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ সময় নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে সরকারি বরাদ্দ থেকে চাল ভিতরণের নির্দেশনা থাকলেও রাদ্দ করা সরকার কর্তৃক আরোপিত অবরোধের ১০দিন পার হয়ে গেলও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কার্ডধারী জেলেদের ভাগ্যে জোটেনি সেই চাল। সরেজমিনে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পূর্বপুরুষ ধরে নদীতে মাছ ধরে তাদের সংসার চালাতে হয়। কিন্ত নিষেধাজ্ঞ্র ১০দিন পার হলেও জেলেদের ভাগ্যে মেলেনি সরকারি বরাদ্দের চাল।একদিকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ অন্যদিকে বিভিন্ন এনজিও,মহাজনের কিস্তি আদায় চলমান থাকায় বিপাকে রয়েছেন তারা। উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের মো. কামাল হোসেন নামে কার্ডধারী এক জেলে বলেন,সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা গত ১০ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরতে যাইনা। আমরা খামুকি আমাদের সংসার চলবে কিভাবে। আমাদের নামে বরাদ্দের চাল কই তা পাইনা কেন।এমনই অভিযোগ করেন নাজিরপুরের মো. জালাল বেপারী, রিয়াজ বেপারী, কেশবপুরের বারেক হাওলাদারসহ অসংখ্য জেলেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালাইয়া, নাজিরপুর, কেশবপুর, কালিশুরি, কাছিপাড়া, ধূলিয়া ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে মোট কার্ডধারী জেলের সংখ্যা রয়েছে সাড়ে ৬হাজার। চলতি বছর ৬হাজার জেলের বিপরীতে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ১শ ৫০টন চাল। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, চাল বিতরনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে,আগামী ২০তারিখের মধ্যে চাল বিতরন শেষ হবে।তবে যথা সময় জেলেরা সরকারি বরাদ্দের চাল না পাওয়ায় স্ত্রী- সন্তান নিয়ে খুব মানবতার জীবন-যাপন পার করতে হচ্ছে তাদের।