পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের প্রতি ভালবাসার কারণ শুধু স্বাদই নয়, ডিমের পুষ্টিগুণও এর নেপথ্যে রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শরীরে দরকারি প্রোটিনের জোগান দেয়া সবটাই করে থাকে ডিম। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। যা নানা শারীরিক জটিলতার চটজলদি সমাধান করে।
ডিম খেতে যারা ভালবাসেন, তারা এক দিনে ৩-৪টি ডিমও খেয়ে ফেলেন। ডিম নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। তাই বলে কি সত্যিই দিনে এতগুলি ডিম খাওয়া যেতে পারে? দিনে কতগুলি ডিম খেলে শরীরের কোনও অসুবিধা হবে না? রইল এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর। পুষ্টিবিদদের মতে, সপ্তাহে তিন-চারটি ডিমের বেশি না খাওয়াই ভাল। কারণ ডিমের ভিতরে থাকা ‘অ্যাভিডিন’ নামের গ্লাইকোপ্রোটিন শরীরের ভিতরে বায়োটিন শোষণে বাধা দেয়। বায়োটিন শরীরের খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। চুল ভাল রাখতে ও ত্বক-নখের গঠনে সাহায্য করে এটি। বায়োটিনের অভাব খুব বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কাজের উপরেও তা প্রভাব ফেলতে পারে। বায়োটিন জলে দ্রবণীয় ভিটামিন এবং খুব সহজেই শরীর থেকে বেরোতে পারে। কিন্তু এই বায়োটিন শোষণে ডিমের সাদা অংশ বাধা দেয় বলে ডিম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা ভাল।
ওজন কমিয়ে যারা রোগা হতে চাইছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ডায়েট হল ‘বয়েলড এগ ডায়েট’। এই ডায়েট অনেক প্রকারের হয়। যার মধ্যে একটিতে সারা দিন ধরে শুধুই ডিম সিদ্ধ খেয়ে থাকার নিয়ম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এক দিনে ছটি ডিম। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যারা প্রতি দিন খুব বেশি শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাদের কখনও একসঙ্গে এতগুলি করে ডিম খাওয়া ঠিক নয়।
কতগুলি ডিম স্বাস্থ্যের পক্ষে নিরাপদ? সুস্থ মানুষের পক্ষে দিনে একটি ও সপ্তাহে চারটির বেশি ডিম খাওয়া ঠিক নয়। প্রোটিন ডায়েটে থাকা মানুষের জন্যও দিনে একটি ও সপ্তাহে চারটির বেশি ডিম পাতে না রাখলেই ভাল। সে ক্ষেত্রে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে হবে মাছ-মাংস ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থেকে। সূত্র: আনন্দবাজার