এক বলে অপরাজিত শূন্য। পরিসংখ্যানের চোখে নিতান্তই নগন্য। তবুও এই শূন্য রানেই ‘রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়ে’ জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেটের অনুপ্রেরণাময় গল্পে। জিতে গেলে হয়তো তিনি থেকে যেতেন পার্শ্বনায়ক চরিত্রে। তবে হেরে গিয়েও মারওয়ে জিতে গিয়েছেন ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা প্রদর্শনে।
শেষ ১৪ বলে জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন তখন ৪০ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়ে। আর শেষ ভরসা হয়ে তখনো ৬৮ রান করে মাঠে ম্যাক্স ও’ডাউড। কঠিন লক্ষ্য, বলা যায় প্রায় অসম্ভবও। তবুও এক একটা রান নিতে চেষ্টার কমতি ছিল না মারওয়ের। ব্যথায় কুঁকড়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌঁড়েছেন, ও’ডাউডকে সঙ্গ দিয়েছেন।
মারওয়ে সঙ্গ দিয়েছেন একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। শেষ ১৪টা বল আর আসা ২৩ রানের ও’ডাউডের সাথে ছিলেন তিনি। ব্যথা ভুলে জয় খুঁজেছেন দাঁতে দাঁত চেপে। ধারাভাষ্য থেকে হার্শা ভোগলে তো অকপটে বলেই বসলেন, ‘রোয়েলফের দেখানো এমন ডেডিকেশন দেখার জন্যই তো দর্শকরা মাঠে আসেন খেলা দেখতে।’ তবে শেষ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডস হেরেই যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। থেমে যেতে হয় ১৬ রানের ব্যবধানে। তবে রোয়েলফ ভ্যান ডার মারওয়ের এমন চেষ্টা দেখে অনেকের মুখ ফুটেই বেড়িয়ে আসে, ইশ! যদি নেদারল্যান্ডসই জিতে যেত! তবে ম্যাচের ফলাফলে নেদারল্যান্ডস না জিতলেও ভাগ্যের দৌড়ে কমলা বাহিনী ঠিকই জিতে গেছে। আরব আমিরাতের কাছে শেষ মুহূর্তে নামিবিয়া হেরে যাওয়ায় ডাচরাই বিশ্বকাপের মূল পর্বে পা রেখেছে।