ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচনের অংশ হিসেবে আগামী ২নভেম্বর জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা, ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশায় নিজ নিজ কৌশল কে কাজে লাগিয়ে সর্বক্ষণ চষে বেড়াচ্ছে প্রার্থীরা। এবার হাজরাবাড়ি নতুন পৌর সভায় মেয়র প্রার্থী ৪জন, আদ্রা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং ফুলকোচা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ভোটারদের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়া আর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠ সরগরম করে তোলেছেন।এদিকে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। এলাকার ভোটারদের অভিমত নৌকা বনাম বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর মধ্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ইতো মধ্যে কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল হতে স্থায়ী বহিষ্কারও করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে নৌকার তুলনায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভোটার গুলো চুপচাপ,নীরব ভুমিকায় রঢেছেন বলে একাধিক এলাকাবাসিরা জানিয়েছেন। মাঠ জরিপে হাজরাবাড়ী পৌরসভার নৌকার শামছুজ্জামান সরুজ, বিদ্রোহী মন্জু ও স্বতন্ত্র সুমন হাজারী, আদ্রার নৌকার রফিকুল ইসলাম খোকা ও বিদ্রোহী রকিবুল ইসলাম চান, ফুলকোচা নৌকার মামুনুর রশিদ ও বিদ্রোহী সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য সাহিদা খাতুন হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীরা দাবী করেন, অবাধ সুষ্ঠ,ভয়-ভীতিহীন নির্বাচন হলে তাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এ অভিযোগ মানতে রাজি নয় নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা। সরেজমিনে দেখাগেছে, নৌকাকে বিজয়ী করতে দলীয় সভা, কমিটি গঠন, মিছিল ও প্রচারনায় অনেক এগিয়ে থাকলেও বিদ্রোহীদের পরিচালিত নিরবে প্রচারে ভোটারদের মন কেড়েছে। তবে স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের অভিযোগ,তাদের প্রচার প্রচারনায় বাধা প্রধান করাসহ আমাদের সমর্থকদের মারধর করছেন নৌকার লোকজন। এবিষয়ে হাজরাবাড়ি পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জু বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিপক্ষ ইর্ষানিত হয়ে আমার কর্মী বাহিনীর উপর হামলা করে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি দেখাচ্ছেন। আমি এর প্রতিকার চাই। আদ্রা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রকিবুল ইসলাম চান বলে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোকজন আমার মটর সাইকেলে হামলা করে এছাড়াও আমার প্রচার প্রচারণাতেও বাধা প্রদান করছে। এ বিষয়ে আমি মেলান্দহ উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। ফুলকুচা ইউৃনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য সাহিদা খাতুন বলেন, আমাকে ফেসবুক ও মোবাইলে প্রতিনিয়তই প্রাণ নাশের হুমকী প্রধান করছে। আমার জনপ্রিয়তায় ইশ্বানিত হয়ে প্রচার প্রচারণায় বাধা প্রধান করায় সংঙ্কায় রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর লোজনরা। সাধারণ ভোটার ফরহাদ হোসেন. সামিউল, আতিকুর বলেছেন সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত ও যারা তাদের পাশে সুখে-দঃুখে সবসময় থাকবে এমন প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। বিশেষ করে হাজরাবাড়ি পৌরসভা একটি নতুন পৌরসভা তাই প্রথম মেয়রের কাছে তাদের প্রত্যাশা একটু বেশিই থাকবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠ করতে জেলা নির্বাচন কমিশন সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। কিছু কিছু স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা অভিযোগ করছে তদন্ত স্বাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে জেলা নির্বাচন অফিস।