সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তা-বে বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে সবজী চাষের জন্য বিখ্যাত সদরপুর উপজেলার শৌলডুবী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় সবজীর দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে করল্লা ও শিম মাচাল, ফুলকপি, কলাবাগান ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে ও অন্যান্য সবজী ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য মাটি উর্বর হওয়ায় শৌলডুবী এলাকায় কৃষকেরা বিভিন্ন প্রকার শাকসবজী যেমন বেগুন, করল্লা, সিম, বরবটি, ঝিঙা, চিচিংঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ধুন্দুল, কাঁচকলা, শষা, গাজর, মূলা, পাতাকপি, ফুলকপি, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়াপাতা, তরমুজ, বাঙ্গি, কলা ইত্যাদি মৌসুমী ফসল উৎপাদনে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য বয়ে এনেছে। এখানে প্রতিদিন সকালে এলাকার বাজারগুলোতে এইসব সবজী পাইকারী ও খুচরা দামে বিক্রি হওয়ায় আশপাশের এলাকার মানুষেরা কমদামে সবজী খেতে পারেন। পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে সবজী ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করে থাকেন। পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় মাত্র দেড় থেকে দুইঘন্টার ব্যবধানে দেশের বৃহত্তম সবজী বাজার কাওরান বাজারে সবজী পৌছে যাচ্ছে। পদ্মাসেতুর কারনে এলাকার গুরুত্ব অনেকটা বেড়ে গেছে। সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, আগামী শীত মৌসুমে ৪৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, অনাবাদি জমি চাষ করতে পারলে অধিক পরিমাণ সবজী উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব। সেজন্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগীতা প্রয়োজন। তবে প্রতিকুল আবহাওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটলে ও আর্থিক প্রণোদনা না দেয়া হলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হতে পারে বলে অনেক সবজীচাষী মনে করেন।