বরিশাল খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়া ৮ম চীন মৈত্রী সেতুর পূর্ব পার্শ্বে পিরোজপুর জেলাধীন কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠীতে অবস্থিত দারুচ্ছুন্নাত জামিয়া-এ-ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় গত ২ নভেম্বর বুধবার ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষার্থী ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় ও দোয়া অনুস্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দোয়া অনুস্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিস্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মো; মোস্তাফিজুর রহমান। অনুস্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নন-কমিশন অফিসার ও জাতীয় দৈনিক জনতা’র পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি গাজী এনামুল হক (লিটন),। ইংরেজি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, যে অত্র মাদ্রাসাটি ১৯৮৫ সালে সর্ব প্রথম এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, ৫নং শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার অত্র মাদ্রাসার জমি দাতা আবুল হাসেম গাজী উদ্যোগ ও অনুপ্রেরনায় এলাকার বর্তমান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৮৫ সালে একটি ফোরকানীয়া মাদ্রাসা প্রতিস্ঠা করেন। পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসাটির সুনাম সরকারের বিভিন্ন মহলে সু- দৃষ্টিতে পড়লে অধক্ষ্য মহোদয়ের প্রচেষ্টায় ১৯৮৫ সালে এমপিও ভূক্ত দাখিল মাদ্রাসায় রুপান্তরিত হয়। মাদ্রাসার ফলাফলে কাউখালী উপজেলায় শীর্ষে অবস্থান করলে ১৯৮৯ সালে অত্র মাদ্রাসাটি আলিম পর্যায়ে এমপিও ভূক্ত হয়। শ্রেষ্ঠ প্রতিস্ঠান হিসেবে বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ায় সরকারের সু দৃষ্টিতে ১৯৯৩ সালে মাদ্রাসাটি ফাজিল (বিএ) ডিগ্রি মাদ্রাসায় এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমান সরকারের প্রতিস্ঠিত ইসলামি আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সন্মানিত উপাচার্য জবাব প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ ও সহকারী পরিদর্শক প্রফেসর ড.জাবেদ পাটোয়ারির পরিদর্শনে আসলে বিগত সালের ফলাফলে মুগ্ধ হয়ে মাদ্রাসাটিকে কামিল মাদ্রাসা হিসেবে অনুমোদন দেন। ফলে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মাদ্রাসাটি কামিল (এমএ) পর্যায়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে কামিল হাদিস বিভাগে ভর্তি চলছে। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন, ৩ (তিন) তলা বিশিষ্ট মাদ্রাসা কাম সাইক্লোন সেন্টার, ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন সহ একটি এক তলা ভবন, শেখ রাসেল ল্যাব, একটি পুস্তকাগার, আবাসিক ছাত্রাবাস, ২ তলা বিশিষ্ট হেফজখানা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে আবাসিক/অনাবাসিক প্রায় ৯শ থেকে ১ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় এ+ সহ শতভাগ সফলতা অর্জনকারী পিরোজপুর জেলার একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপান্তরিত হয়েছে। আরো বক্তব্য প্রদান করেন সহকারী অধ্যাপক জনাব মাওলানা মোহাম্মদ শরিফ আঃ মান্নান, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, আরবী প্রভাষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, আরবী প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ নূরুল আলম, সহকারী মৌলভী মাওলানা মোঃ আবু হানিফ নোমান, সহকারী মৌলভী মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আইসিটি মোঃ আসাদুজ্জামান সরদার, সহঃ শিক্ষক কৃষি মোঃ সোহেল হোসেন, সহকারী শিক্ষক আমির হোসেন, বাংলা প্রভাষক রবেদ্রনাথ সানা, শিক্ষক গোলাম রাব্বি সহ অন্যান্য শিক্ষক বৃন্দ। মাদ্রাসার শিক্ষক বৃন্দ, গভার্নিং বডির সদস্য বৃন্দ, অভিভাবক, সুশীল সমাজের সন্মানিত ব্যাক্তি বর্গ।