কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে বিভিন্ন বিওপিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ করা হযেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি প্রশিক্ষন মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেক্টরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. ইয়াছির জাহান হোসেন। কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলি, পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু জাফর, কাস্টমস সুপার তাপস কুমার সাহা, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্ত্মাফিজ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এই জেলায় মাদক উৎপাদন না হলেও কাচা টাকার প্রলোভনে অনেকে ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছেন। এরফলে অনেকে মাদকাশক্ত হয়ে পরছে। মাদকের করাল থাবা থেকে রক্ষা পেতে প্রথমে পরিবার থেকে আন্দোলন শুরু করতে হবে। এরপর সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদককে পরিহার করতে হবে। বক্তারা বলেন, জেলার সীমান্ত্ম রক্ষী বাহিনীসহ সবগুলো বিভাগের সহযোগীতায় এবং সীমান্ত্ম এলাকায় জনসচেতনতার মাধ্যমে মাদক নির্মূলে কাজ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে জব্দকৃত আনুমানিক ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ১ হাজার ৬৫টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংকরণ করা হয়। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা ৪৯ হাজার ১৮পিচ, ভারতীয় মদ ৬হাজার ৬০৭ বোতল, গাজা ২৪১ দশমিক ৬৯০ কেজি, ফেন্সিডিল ৯৫ বোতল এবং বিয়ার ৫ বোতল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান বিএসপি,পিএসসি জানান, সমন্বিতভাবে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে মাদকের বির¤œদ্ধে কাজ করতে হবে। সরকার সীমান্ত্মে নজরদারী বাড়াতে বিজিবিকে আরো সম্প্রসারিত করছে। আমাদের সকলের লক্ষে থাকবে যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা।