সুলতানুল আরেফিন একজন দক্ষ ব্যাংকার। তিনি চাকুরি করতেন এবি ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশিয়ার পদে। কৃষির প্রতি ভালোবাসা তাকে বানিয়েছে ব্যাংকার থেকে আর্দশ কৃষক। তিনি গড়ে তুলেছেন নিজ উদ্দ্যেগে কৃষি খামার। ১ বছর আগে ব্যাংকে চাকুরী ছেড়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ধামিলায় তার ৩০ বিঘা জমিতে আম, পেয়ারা, লেবু মাল্টা সহ বিভিন্ন ফসলের বাগান গড়ে তোলেন। তিনি তার সাড়ে ৩ বিঘা আম বাগানের পতিত জমিতে মাচা করে লাউ চাষ শুরু করেন। লাউ এর মাছায় ঝুলতে শুরু করেছে লাউ। বাগানের পতিত জমিতে লাউ বাগান দেখে মন জুড়িয়ে যাবে সবার। এ পতিত জমিতে শুধু লাউ না। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি চাষ । সবজির মধ্যে রয়েছে বেগুন, ওল, মরিচ উল্লেখযোগ্য। কথা হয় কৃষক সুলতানুল আরেফিনের সাথে। তিনি বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর টাটকা ফলমূল ও সবজির নিশ্চয়তা ও কৃষির প্রতি তার হৃদয়ের অনুভূতি থেকে এবি ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশিয়ার পদের চাকরি ছেড়ে তার ৩০ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। তিনি তার কৃষি খামার অনেক উন্নত,আধুনিক এবং প্রযুক্তি নির্ভরশীল করে গড়ে তুলেছে। লাউ বাগান থেকে লউ বাজার জাত শুরু করেছেন তিনি। একদিকে যেমন তার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরন হচ্ছে আবার প্রতিবেশিদের পুষ্টির চাহিদা তিনি পূরনে সহযোগিতা করছেন। তার উৎপাদিত লাউ ইতিমধ্যে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকার কাওরন বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। এত করে আর্থিক ভাবে লাভোবান হচ্ছেন তিনি। শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়, নিরাপদ সবজি উৎপাদন, পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আম বাগানের পতিত জমিতে লাউ চাষ দেখে অন্যরাও পতিত জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছে। তারই মধ্যে ধামিলা গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলামের ও পালপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিন অন্যতম। গোদাগাড়ী কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার বলেন, আম বাগানের পতিত জমিতে সবজি চাষের সাথে মিশে আছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি সবজি চাষ শুরু করেন। সুষম সার ব্যবহার,জৈব সার, ছাই, জৈব বালাই নাশক, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ ও রাসায়নিক সারের সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমে এখানকার কৃষি এগিয়ে চলেছেন দূর্বার গতিতে।