বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সামগ্রিকভাবে ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমন একটি আবহ তৈরি করা হচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি যুদ্ধ হবে। এটা তারা তৈরি করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, ঢাকায় হবে বিভাগীয় সমাবেশ। আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছিলাম ১০টি বিভাগ নিয়ে, তার সর্বশেষ কর্মসূচি হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকা থেকে হয়তো আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি, দাবি-দাওয়াসহ আরও বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে জনগণের সামনে আসবো। এটা আমাদের চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়, এটা হচ্ছে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, এমন কোনো কর্মসূচি আমরা নেবো না, যাতে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিপদগ্রস্ত হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আর শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাবো। বিএনপি মহাসচিব বলেন, হেফাজতের মতো দমন করার অবস্থা এখন আর দেশে নেই। হেফাজতের সময় তারা যেটা করেছে, এখন জনগণের সঙ্গে সেটা করতে পারবে না। কারণ হচ্ছে, জনগণ তাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে, যেকোনো মূল্যে এবার দাবি আদায় করে ছাড়বে। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে অনির্বাচিত সরকারের অবৈধ মন্ত্রী ও নেতা দায়িত্বহীন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে সমাবেশ নস্যাৎ করার হীন চক্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনির্বাচিত সরকারের সব হীন চক্রান্ত ব্যর্থ করে জনগণ তাদের ন্যায্য দাবিতে সমবেত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে সোচ্চার হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করা হলে জনগণ কখনই তা মেনে নেবে না। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ গণসমাবেশ সফল করবে।