কাতার বিশ্বকাপে গতি ফিরেছে। প্রথম দিন উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে স্বাগতিক কাতার পাত্তা পায়নি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইংল্যান্ড। এরপর গতির লড়াই শুরু হয়েছে নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের মধ্যে। দুই দলই সমানে সমানে লড়াই করলেও শেষ ১৫ মিনিটে দুই গোলে আফ্রিকার পরাশক্তি সেনেগালকে ২-০ গেলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন কডি গাকপো। ইনজুরি টাইমের অষ্টম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডেভি ক্লাসেন। সাদিও মানেকে ছাড়া সেনেগালকে যতটা খর্ব শক্তির মনে হচ্ছিল মাঠের খেলায় সেটার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বরং ম্যাচের শুরুতে ফিফা র্যাংকিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ডাচদের বিপক্ষে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেছে ১৮ নম্বরে থাকা সেনেগাল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুদল। ৪ মিনিটেই পিএসভির মিডফিল্ডার গাকপোর করা ব্যাকহিল থেকে বারউনের শট সেনেগালের ডিফেন্স ব্লক করে দেয়। ম্যাচের ৯ মিনিটে বল পায়ে সেনেগালের সারের করা শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে নেদারল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে নেদারল্যান্ডের পোস্টে জোরালো শট করেন সেনেগালের স্ট্রাইকার। কিন্তু তা ভিরগিল ফন ডাইকের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
এরপর ম্যাচের ২৭ মিনিটে পাওয়া কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেন ফন ডাইক। কিন্তু তা চলে যায় গোলপোস্টে বাইর দিয়ে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার বারঘুইসের শট সেনেগালের চেলসির মিডফিল্ডার এদোয়ার্ডো মেন্ডি দুর্দান্তভাবে রুখে দেন। এরপর দুদলই গোলের লক্ষ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায়। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউই। গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল ও নেদারল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর থেকেই নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল দুই দলই প্রথম গোলের দিকে তাকিয়ে ছিল। বলা যায় একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল সেনেগালই। সেনেগালের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি এসেছিল ৭৩ মিনিটের মাথায়। এভারটনের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গেই-এর শটটি ঠেকিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক আন্দ্রিস নপাট। এটিই ছিল নপাটের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন কোডি গাকপো। তিনি ফ্রাঙ্কি ডি জং-এর পাসে বল হেড করে পোস্টে নিয়ে যান। যখন নেদারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি একটি গোলের প্রয়োজন ছিল, তখন তাদের দলের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হেডে গোল করেন। এরপরে ম্যাচে ৮ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তের অর্থাৎ ৯০+৮ মিনিটে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ডেভি ক্লাসেন। মেম্ফিস ডিপাই শট নিয়েছিলেন। মেন্দি তা প্রতিহত করলে বল যায় ক্লাসেনের কাছে। তিনি ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ডাচদের মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।