শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন

করোনায় প্রাণহানি ছাড়াল সাড়ে চার হাজার, নতুন শনাক্ত ২২০২

শামছুল আরিফ:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৭ জন। হাসপাতালে ৩১ জন ও বাড়িতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৫১৬ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪৮৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২০২ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ জনে। গতকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী চার হাজার ৫১৬ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫৩৪ জন (৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং নারী ৯৮২ জন (২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ)। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন। বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চারজন, রংপুর বিভাগে সাতজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।

যেকোনো সময় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে: ডা. লেলিন
যেকোনো সময় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিন্মমুখী, ঊর্ধ্বমুখী বা একই ধারায় প্রবাহমান- এটা বোঝার জন্য যত সংখ্যক টেস্ট হওয়া দরকার সেটি হচ্ছে না। যে পরিমাণ কমিউনিটি জরিপ হওয়া দরকার সেটিও হচ্ছে না। ফলে এই পরীক্ষা দিয়ে করোনার গতি-প্রকৃতি, ধরন বলা সম্ভব নয়। গতকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বর্তমানে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ভীতি কমে যাওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফল সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. লেলিন চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারছি, মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণও করছে। আমরা করোনায় মৃত্যুর যে খবর পাই, সেখানেও সমগ্র দেশের সব হাসপাতালের মৃত্যুর খবর আসে না। শুধু দেশের সরকারি কিছু হাসপাতালের মৃত্যুর খবর পাই। ফলে এই অপ্রতুল তথ্য থেকে করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি বলা সম্ভব না। ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ঢিলেঢালা ভাব ও মানুষের মধ্যে অচেতনতার ফলে যেকোনো সময় করোনার সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যেতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আমরা করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে সেটা হলে দুঃখজনকভাবে হলেও আমাদের অনেক জীবন দিয়ে, ভোগান্তি দিয়ে ও অর্থনীতির ক্ষতি দিয়ে সেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, তখন জনগণের মধ্যে থেকে করোনা-ভীতি কমাটাই স্বাভাবিক। করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে কার্যক্রম চালু রাখা দরকার সেটা আমরা করছি না। করোনাকে আমরা তার নিজের মতো করেই চলতে দিচ্ছি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন নিজ থেকেই কমে যাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com