শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও ওয়ান (জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা) এর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ব্যাপক ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ভেরিফিকেশনে ত্রুটির মাত্রা অনুযায়ী চলে ঘুষ বানিজ্যের মাত্রা। আবার কারো কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও কাজ করে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। দাবীকৃত টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হলে ত্রুটি না থাকলে ও নেভিটিভ রিপোর্ট দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এতে করে শরীয়তপুরের পাসপোর্ট গ্রাহকরা ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। তবে ডি আই ও ওয়ান বলছেন, আমার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। অন্যদিকে পুলিশ সুপার বলছেন, এ সকল বিষয় ফোনে বলা যাবে না। অফিসে আসেন সাক্ষাতে বলতে হবে। নড়িয়া উপজেলার রাজনগর এলাকার পাসপোর্ট গ্রহীতা ইয়াকুব আলী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দেশের অন্যতম প্রবাসী নির্ভর জেলা শরীয়তপুরের সাধারন মানুষ প্রবাসে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করে থাকেন। এ জেলায় গড়ে প্রতিমাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার পাসপোট হয়ে থাকে। আর তারা পাসপোর্ট জমা দিলে ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডি আই ও ওয়ান (জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা) এস এ শাহরিয়ার হাসান এর নিকট। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ব্যাপক ঘুষ বানিজ্যেও অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভেরিফিকেশনে ত্রুটির মাত্রা অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত চালান ঘুষ বানিজ্যের মাত্রা। আবার কারো কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও কাজ করে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। দাবীকৃত টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হলে ত্রুটি না থাকলে ও নেভিটিভ রিপোর্ট দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। ত্রুটি হীন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে ও ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় জেলা গোয়েন্ধ শাখার কিছিু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে। এতে করে শরীয়তপুরের পাসপোর্ট গ্রাহকরা ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য শরীয়তপুর জেলা পুলিস সুপার কার্যালয়ের ডি আই ওয়ান আমার কাছে ২ হাজার টাকা দাবী করেন।আমি তার দাবীকৃত ২ হাজার টাকা না দেওয়ায় আমাকে গালি গালাজ করে বের করে দেন। পরে আমি ১ হাজার টাকা পরিশোধ করি। যার ফলে আমার পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট এখনও পাঠানো হয়নি পাসপোর্ট অফিসে। জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের হুমায়ন কবির বলেন, আমার (সম্বন্ধি) স্ত্রীর বড় ভাই রাজিব মালের একটি পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করেন। তার পর শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গোয়েন্ধা শাখা থেকে ভেরিফিকেশন করার জন্য ডি আই ওয়ান শাহরিয়ার হাসান ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে। পরে আমরা ৬ হাজার টাকা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনি। শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যলয়ের ডি আই ও ওয়ান এস এম শাহরিয়ার হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমরা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে কোন টাকা নেই না। এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক বলেন, এ সকল বিষয়ে মোবাইল ফোনে কোন কথা বলা যাবে না। সাক্ষাতে এসে কথা বলতে হবে বলে তিনি জানান।